নরসিংদী জেলার অন্তর্ভূক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুন:খনন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫শত ২৮ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গত কিছু দিন আগে সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামে এই প্রকল্প কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এবং তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ভৌত কাজগুলো হল, নদী পুন:খনন কাজ ২৩১.৮০ কিলোমিটার, ঢেউয়ের আঘাত হতে নদীর তীর রক্ষার কাজ ২২.২০৪ কিলোমিটার, নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ ১.১৫০ কিলোমিটার, ব্রিজ শক্তিশালী করণ কাজ ৮৫টি ব্রিজ।
এছাড়াও নদী সমূহের খননকৃত মাটির দ্বারা নদীর দুই পাড়ের বিদ্যমান রাস্তা সড়ক, খেলার মাঠ, জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য ভূমি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জার ভিটা/ আঙ্গিনা ভরাট এবং জনসাধারণের মালিকানাধীন অপেক্ষাকৃত নিচু কৃষি ভূমি অথবা পতিত ভূমি চাষাবাদযোগ্য করার লক্ষ্যে উঁচুকরণ কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। আশা করা যাচ্ছে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০২১ সালের জুন মাসে।
এদিকে এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক জানান, ইতিমধ্যে নরসিংদী বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে নদী পথ অনেকটা উন্নত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই নরসিংদীতেও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই তার অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে এ জেলার চরাঞ্চল আলোকবালী, শ্রীনগর, নজরপুর, করিমপুর সহ আরো অনেক এলাকার জনসাধারণের নদী পথের চলাচল সুবিধা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এসব এলাকার নদী খননের জন্য বিরাট প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নরসিংদী জেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এতো বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরও দুর্নীতি হবে না মনে করছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। সেই সাথে সরকারের এই উদ্যোগে নরসিংদী জেলার চরাঞ্চল সহ প্রায় সব মানুষই আনন্দিত।