নরসিংদীর বীরপুর মহল্লায় জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেশী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই পরিকল্পিতভাবে মামাতো বোন কলেজ ছাত্রী ফুলন বর্মণের গায়ে আগুন দেয় ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ ও তার দুই সহযোগী রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকীর আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত রাজু সূত্রধর। রাজু সূত্রধর (২১) নরসিংদী শহরের বীরপুর মহল্লার মৃত কেশব সূত্রধরের ছেলে ও নরসিংদী বাজারের একটি মাছের দোকানের কর্মচারী।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ ও অপর সহযোগী আনন্দ বর্মণকেও গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে নরসিংদী শহরের বীরপুর মহল্লায় পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত কর্তৃক কলেজ ছাত্রী ফুলন বর্মণের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনার পর রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পর্যায়ক্রমে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে নরসিংদী শহরের শিক্ষাচত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ভিকটিম ফুলন বর্মণের ফুফাতো ভাই ভবতোষের বন্ধু রাজু সূত্রধরকে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু রাজু সূত্রধর পুলিশকে জানায়, প্রতিবেশী সুখ লাল ও হিরা লাল এর পরিবারকে জমি সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবেই ফুলন বর্মণ এর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়।
মামাতো ভাই ভবতোষ এর নেতৃত্বে সহযোগী রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ এতে অংশ নেয়। পরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাজু সূত্রধর। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ ও অপর সহযোগী আনন্দ বর্মণকেও গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।১৩ জুন রাতে নরসিংদী শহরের বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে কলেজ ছাত্রী ফুলন বর্মণ এর গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার একদিন পর ফুলন বর্মণের বাবা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। শরীরের ১২ ভাগ পোড়া অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফুলন বর্মণ।