মো.শফিকুল ইসলা(মতি)নিউজ সময়:নরসিংদীতে সড়কে চাঁদাবাজি করার সময় দুই চাঁদাবাজকে হাতে নাতে আটক করায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়্রা হোসেন শামীমের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে চাঁদাবাজরা। এ সময় আটককৃত দুই চাঁদাবাজকে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগীরা। শনিবার দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন (শামীম) বলেন, সকালে নিয়মিত টহল চলাকালে আমি আরশিনগর এলাকায় দুই ব্যক্তিকে যানবাহন থেকে টাকা তুলতে দেখি। তাদের জিজ্ঞাসা করি,কিসের টাকা তোলা হচ্ছে, চাঁদা তোলার বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তারপরও প্রকাশ্যে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা অবস্থায় দুই চাঁদাবাজকে হাতে নাতে আটক করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালায়। তারা প্রথমে কিল-ঘুষি মারে, পরে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে আটক কৃত দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেয়।
এরপর আমি অচেতন হয়ে পড়লে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, কয়েক দিন আগে আমি নরসিংদীর সড়কগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধে,জিরো টলারেন্স, ঘোষণা করেছিলাম। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি-ধমকি পেতে থাকি। এমনকি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি হামলার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলাম।অন্যদিকে, পৌরসভার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর বলেন, আমি পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় স্ট্যান্ডের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন (শামীম)আমাদের টাকা তুলতে বাধা দেন।
এর আগেও আমাদের দুইজনকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আজও আমাদের লোকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের যদি কাজ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে সরকার আমাদের টাকা ফেরত দিক। তবে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর দাবি করেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।