উপজেলার সলিমগঞ্জ -নরসিংদী (মেঘনা নদী) নৌরুটে যাত্রীবাহী স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রীরা। ঘাটের এই চিহ্নিত সিন্ডিকেটের কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। সলিমগঞ্জ বাজার থেকে নরসিংদী ঘাটে স্পিডবোটে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২৫-৩০মিনিট।
জানা গেছে, উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজার থেকে নরসিংদী ঘাটে স্পিডবোটে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২৫-৩০মিনিট। আর ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও লঞ্চে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। বর্তমানে সময় বাঁচাতে যাত্রীরা স্পিডবোটের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, স্পিডবোটে যাতায়াতে যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হয়। জন প্রতি নেয়া হয় ২০০ টাকা করে। এছাড়া সুযোগ বুঝে যাত্রীর ব্যাগের কারণে আরও ৫০ থেকে ১০০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়। এতে বিরক্ত যাত্রীরা। তবে বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
আরও অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ স্পিডবোটের চালক কিশোর ও অদক্ষ। এছাড়া অধিকাংশ স্পিডবোটে নেই লাইফ জ্যাকেট। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পাড় হতে হয় যাত্রীদের।
সলিমগঞ্জ থেকে নরসিংদী ঘাটে যাচ্ছেন যাত্রী রেজাউল করিম তিনি জানান, নৌ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর দায়িত্বে অবহেলার কারণেই স্পিডবোট মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। যা উচিত না। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত।
নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মো.কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছি। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’