কক্সবাজার শহরে সরকারী হাসপাতালের ওষুধ পাচারের সময় শ্যামল পাল (৫০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় বিপুল পরিমাণ সরকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। শ্যামল পাল রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী।

সোমবার বিকাল ৪ টায় শহরের ঝাউতলা গাড়িরমাঠ ৫নং গলি এলাকায় মজুদ করার সময় শ্যামল পালকে হাতেনাতে আটক করা হয়।স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে একটি বাসে করে সরকারী লগো সম্বলিত বিপুল পরিমাণ ওষুধের কার্টুন গাড়ির মাঠ এলাকায় নিয়ে আসে শ্যামল পাল নামে ওই ব্যক্তি।

পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঝাউতলা নারী কল্যাণ কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি ফাতেমা আনকিজ ডেইজিকে বিষয়টি অবহিত করেন।এসময় তাৎক্ষণিক ডেইজি স্থানীয়দের নিয়ে সেগুলো পাচার ঠেকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধসহ শ্যামল পালকে হাতেনাতে আটক করে।

কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, স্থানীয়রা ওষুধগুলো আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়। এসময় পাচারকারীকে আটক করা হয়। পাচারকারীর প্রাথমিক বর্ণনা অনুযায়ী জব্দকৃত ওষুধের মধ্যে ২ হাজার ৪০০ স্যালাইন সেট ও ১০০ টি স্যলাইন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো চুরি করে ঝাউতলাস্থ তার বাসায় মজুদ করার জন্য নিয়ে এসেছিল পাচারকারী। কিন্তু বাসায় মজুদের আগে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ সেগুলো জব্দ করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, পাচারকারীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারণ তার একার পক্ষে হাসপাতাল থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো বের করে আনা সম্ভব নয়।

তার সাথে হাসপাতালের স্টোর কিপারসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকের যোগসাজস থাকতে পারে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখানে কমেন্ট করুন: