আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলে নরসিংদী জেলার ৬ উপজেলায় ৭৩টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব পশুর হাটের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১টি, পলাশ উপজেলায় ৮টি, শিবপুর উপজেলায় ১৪টি, মনোহরদীতে ৯টি, বেলাবতে ৬টি ও রায়পুরা উপজেলায় ৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।

ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকী থাকলেও এখনও হাটগুলোতে তেমন জমেনি বেচাকেনা। হাটে পর্যাপ্ত পশুর যোগান থাকলেও বেচাকেনা না হওয়ায় অনেকটা হতাশ বেপারিরা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শিবপুরের ধানুয়ায় অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেপারিরা পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু ও মহিষ নিয়ে এসেছেন বাজারে। ছোট থেকে বড় ও মাঝারি সবধরণের গরু মহিষের পাশাপাশি রয়েছে ছাগল ও ভেড়া। এসব পশুর সবই দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা। নরসিংদীর হাটগুলোতে দেশের বাইরের গরু না খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারীরা। পশুর আমদানির তুলনায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি অনেকাংশে কম বলে দাবী করছেন বেপারিরা।

বেপারিরা বলছেন, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সবধরণের ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী পশু রয়েছে বাজারে। তবে এখনও ক্রেতার উপস্থিতি সন্তোষজনক নয়। কিছু ক্রেতা বাজারে এলেও তারা পশু দেখে পছন্দ হলেও দাম কম বলছেন। অনেকে ঈদের বেশি আগে পশু কিনতে চান না। তারা আগে থেকে বাজারে এসে দাম পর্যবেক্ষন করেন। শেষ কয়েকদিনের বাজার পরিস্থিতি দেখে পশু কেনা শুরু করেন। খইল, কুড়া, ভুষিসহ পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় লালন পালনের খরচও বেড়েছে। দাম কম হলেতো লোকসান গুনতে হবে। তবে এখন যেসব ক্রেতা ন্যায্য দাম বলছেন তাদের কাছে আমরা পশু বিক্রি করে দিচ্ছি। ঈদের ছুটি শুরু হলে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। তবে এবার গরুর দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

অপরদিকে কোরবানী দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যে’র মধ্যে তাদের পছন্দের পশুটি কেনার জন্য। অনেক ক্রেতা বাড়ি ফিরেছেন কোরবানীর গরু কিনে। কেউ-কেউ আবার অপো করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য।
ক্রেতারা বলছেন, হাটে পছন্দসই গরু মহিষ ও ছাগল ভেড়ার অভাব নেই। তবে বিক্রেতারা এসব পশুর আকাশচুম্বি দাম চাইছেন। এতে সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু কেনা কষ্টকর হবে। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়লেও পশুর দাম এতো বেশি থাকবে না বলে আশাবাদী আমরা।

কোরবানির ঈদকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমেছে বলে জানান ক্রেতা বিক্রেতারা।

এখানে কমেন্ট করুন: