একাত্তুরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন মৃত সমশের আলীর ছেলে উপজেলার জয়মঙ্গল গ্রামের মো: সুলতান উদ্দিন মিয়া। জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৫৮৬৮১৭৬২১৪৩২৬৩৬ মাতৃভূমি স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রেখে পাক হানাদার বাহীনির বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে ছাত্র অবস্থায় অংশগ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রাইফেল ও গ্রেনেটের প্রশিক্ষন নেন বিভিন্ন স্থানে। যুদ্ধকালীন সময়ে অধিনায়ক এম.এ. মান্নান, কমান্ডার আ: বাতেন বিএসসির নেতৃত্বে কেএম সফিউল্লার ৩নং সেক্টরে অধীনে পুটিয়ার বাজারে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে কমান্ডার বাতেন বিএসসি, ব্রাম্মন্দীর মান্নান মাস্টার, কুন্দারপাড়ার কফিল উদ্দিন মাস্টার, বরকান্দার হামিদের সাথে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন।
যুদ্ধকালীন সময়ে সহযোদ্ধা যারা ছিলেন মো: কফিল উদ্দিন, লাল মুক্তিবার্তা নং ০১০৫০২০১২৭, মতিউর রহমান মজনুু লাল মুক্তিবার্তা নং- ০১০৫০২০৩২৭, আবদুল হামিদ পাঠান লাল মুক্তিবার্তা নং- ০১০৫০২০৩৭৭। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে শেখ ফজলুল হক মনির নিকট অস্ত্র সমর্পন করেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়ামে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২। জামুকা প্রেরিত তালিকা নং- ডিজিআই ১৪৮৫২০, ১২জুন ২০১৪ সালসহ বার বার আবেদন ও নিবেদন করার পরও এখনো পর্যন্ত স্বীকৃতি পায়নি। বর্তমানে গ্রামের বনজঙ্গল থেকে লাকরী সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তার সংঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে মনে প্রাণে পছন্দ করি। বঙ্গবন্ধুর ছবি কোথাও দেখলেই ছালাম দিয়ে সন্মান করি। আমি মরনের আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই, আমার অন্য কোন চাওয়া পাওয়া নাই সরকারে কাছে। স্থানীয় এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন বলেন, উপজেলার যাচাই-বাছাই কমিটির সকল সদস্যদেরকে নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।
যুদ্ধকালিন (বিএলএফ) থানা কমান্ডার আবদুল বাতেন বিএসসি বলেন, সুলতান উদ্দিন মিয়া একাত্তুরে আমাদের সাথে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মোতালীব খান বলেন, সুলতান মিয়ার কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে তালিকায় আজও পযর্ন্ত নাম লিপিবদ্ধ হয়নি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।