নরসিংদীর উপজেলার মোড় থেকে ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয় প্রদানকারী সাইফুল ইসলাম রুদ্র নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৮টি আইডি কার্ড, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সিল ও বিভিন্ন মানুষের ৪১টি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।
গত(২০ আগস্ট) ২০১৮ সালে সোমবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার তাকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম রুদ্র রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সাইফুল ইসলাম রুদ্র দীর্ঘদিন যাবৎ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর লোক ও সাংবাদিক পরিচয়ে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা আনত।
শুধু তাই নয় রমজান মাসের ২য় দিন রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জের ষাটোর্ধ এক গৃহহীন অসহায় বৃদ্ধা আয়েশা খাতুনের কাছ থেকে জায়গা উদ্ধার ও তদন্ত করার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে ৫হাজার টাকা দাবী করে। সেই বৃদ্ধা কোন উপায়ন্তর না দেখে মেয়ের স্বর্ণের চেইন ৫হাজার টাকায় বন্ধক রেখে তাকে ৩হাজার টাকা দেন।
পরবর্তীতে তাকে না পেয়ে অসহায় বৃদ্ধা উপজেলার মোড়ে রাস্তার এক গলিতে দাড়িয়ে কাঁদতে থাকে। সেসময় কয়েকজন সাংবাদিক তাকে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে পাঠায়। বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার আমলে নিয়ে তাকে ধরার উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান ও অভিযান চালাতে থাকেন।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ধারী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার কাছে থাকা বিভিন্ন মিডিয়ার ৮টি পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সিল ও বিভিন্ন মানুষের ৪১টি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার বলেন, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজী করত।
আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে শহরের উপজেলার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি। এই ঘটনায় রাতে আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি জালিয়াতী ও ভূয়া পরিচয়ের মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম রুদ্র বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।