স্টাফ রিপোর্টার: পর কীয়া প্রেমের টানে বিয়ের দীর্ঘ ৬ বছর পর সন্তান ফেলে অন্য পরপুরুষের সাথে পালিয়েছিলেন স্ত্রী। এই ক্ষোভে স্বামী অ পহরণ করেন শ্যালিকাকে (১৫)। এরপর পাঁচ মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শ্যালিকাকে ধ র্ষ ণ করেন ফেরদৌস শেখ নামের ওই ব্যক্তি।
অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে অ পহরণ ও ধর্ষ ণের শিকার শ্যালিকাকেও।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ফেরদৌস শেখসহ আটজনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় অ পহরণ ও ধ র্ষ ণ মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে মেয়েটির বড় বোনকে বিয়ে করেন ফেরদৌস শেখ। তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে প রকীয়ায় মজে পালিয়ে যান তিনি। তাকে বিয়েও করেন ভুক্তভোগীর বোন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১২ মার্চ শ্যালিকাকে অ পহরণ করেন ফেরদৌস। নাজিরপুরেই বিভিন্ন স্থানে তাকে রেখে নিয়মিত ধ র্ষণ করতে থাকেন তিনি। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে সহায়তা করে।
মেয়েটির বাবা থানায় অ ভিযোগ করলে অভিযানে নামে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেরদৌসকে আটক ও তার তথ্যমতে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করেন।এ বিষয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফেরদৌস শেখকে আদালতের মাধ্যমে জে লহাজতে নেওয়া হয়েছে।