চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আমিরপুরে ঘুরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩)  শ্লীলতাহানির চেষ্টার সময় বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রীর মামা নিহত হয়েছেন। এতে উত্তেজিত প্রতিবেশীরা ওই বখাটেকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে চুয়াডাঙ্গার আমিরপুর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত স্কুলছাত্রীর মামা হাসানুজ্জামান একই গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে এবং গণপিটুনিতে নিহত আকবর হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত বাড়ির মালিক হামিদুর রহমান এবং স্কুলছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হামিদুর রহমানকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর রেলগেট পাড়ার হামিদুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে বখাটে আকবর হোসেন তার নাতনিকে (১৩) শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় ওই স্কুলছাত্রীর  চিৎকারে নানা হামিদুর রহমান (৫৫) ও মামা হাসানুজ্জামান (৩২) ছুটে এসে আকবরকে ঝাপটে ধরেন। এসময় বখাটে আকবর তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামিদুর রহমান, হাসান আলী এবং ওই স্কুলছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কুপাতে থাকে। তাদের চিৎকারের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বখাটে আকবর হোসেনকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গুরুতর আহত হামিদুর, হাসানুজ্জামান ও সুমাইয়া খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। হামিদুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ , সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ও পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, নিহত আকবর বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেঁচড়া শুরু করলে সে চিৎকার করে। এই সময় মামা হাসানুজ্জামান ও নানা হামিদুল ছুটে আসলে আকবর তিনজনকেই ছুরিকাঘাত করে। আহত তিনজনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে হাসানুজ্জামান মারা যান। আহত হামিদুলকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সুমাইয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ।

এখানে কমেন্ট করুন: