মনোহরদীতে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষিতা হয়ে এখন পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিয়য়ে ভূক্তভোগি ও তার অভিবাবক বাবা মা গত শুক্রবার বিকালে মনোহরদী উপজেলা সদরে মনোহরদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা দশম শ্রেণীর ছাত্রী তার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে তার পিতৃত্বের দাবী আদায়ে বক্তব্য দেন। অন্তসত্ত্বা এই বালিকা জানান সে মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের মারজুলের মেয়ে সে তার বাবা মায়ের সাথে গাজীপুর জেলার আশকোনা এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করে। গত ৬/৭ মাস আগে বাবার সাথে সে গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়ী পাইকানে বেড়াতে আসে। এসময় একই গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে ও সাবেক মেম্বার রুপালীর ভাই রাকিব মিয়া (২০) তাকে প্রেমের পস্তাব দেয়। মেয়েটি এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাকিব মিয়া মেয়েটিকে প্রায় সময় উৎতক্ত করতে থাকে এবং তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে গত ২৮ মার্চ তারিখে ভোক্তভূগি বালিকা সন্ধারাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহির হলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা অভিযুক্ত রাকিব সহ কয়েকজন মিলে জোর পূর্বক মেয়েটিকে ধরে পাশ্ববর্তি কলা বাগানে নিয়ে রাকিব মিয়া ভূক্তভোগিকে ধর্ষন করে। এ সময় রাকিব ধর্ষিতা বালিকাকে বিষয়টি কারো কাছে বললে বা বিচার দাখিল করলে ধর্ষনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগে ছাড়া হবে বলে হুমকি দেয় রাকিব। এ কারণে মেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। কিছুদিন পারহলে ধর্ষিতার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষিত হয়। পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে জানাযায় সে অন্তসত্ত্বা।
বিষয়টি স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সুলতান উদ্দিন কে জানালে তিনি মেয়েটির অভিবাবকদের আদালতের স¦রনাপন্ন হতে বলেন।
ভূক্তভোগি বালিকা নিজে স্বাক্ষর করে গত ৯ জুন লিখিত ভাবে বিষয়টি মনোহরদী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর দরখাস্ত করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট ভূক্তভোগির দরখাস্ত প্রেরণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে একই তারিখে ধর্ষিতার পিতা মারজুল বাদী হয়ে অভিযুক্ত রাকিব মিয়া (২০) কে আসামী করে মনোহরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৭/৩০/৯(১)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অপহরণ পূর্বক ধর্ষন ও সহায়তা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ধর্ষিতার পিতা মারজুল বলেন মামলা দায়ের করার পর প্রায় তিন মাস পার হচ্ছে এখন পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের বিচার পাই নাই। উপরোন্ত বিবাদী ও বিবাদীর ভাই রুপালি মেম্বার আমার মেয়েকে ও আমার পরিবারের লোকজন কে হত্মা সহ নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমার অন্তসত্ত্বা মেয়ে ও আমার পরিবার নিয়ে আমরা চরম আতংকে দিন পার করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন। তিনি জানান আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি ঘটনার সত্যতা পওয়া গেছে। আসামী পলাতক রয়েছে আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
আসামী রাকিবের ভাই সাবেক মেম্বার রুপালীর সাথে কথা হলে তিনি জানান এলাকায় এ ব্যপারে মিমাংশা করার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু বর্তমনে আমার ভাই রাকিবের সাথে এখন আমাদের যোগাযোগ নাই।