মো: শফিকুল ইসলাম নরসিংদী :
নরসিংদীর মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বসত ভিটা ও কৃষি জমি রক্ষাসহ গ্রামকে বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে এলাকাবাসীর ব্যানারে সদর উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল জিৎরামপুর বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল জিৎরামপুর, শ্রীনগর, অনন্তরামপুর ও নজরপুরসহ ৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার লোকের বসবাস। নদীঘেরা এই মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ ও মাছ ধরা। সম্প্রতি জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি মহলের নেতৃত্বে জিৎরামপুর গ্রাম ঘেষা মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামবাসীর বসত ভিটা, কৃষি জমি ও বাজার ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই গত কয়েকবারের বর্ষায় স্থানীয় বাজার, বসত ভিটাসহ গ্রামের বিভিন্ন অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই প্রতিনিয়ত আতঙ্ক মাথায় নিয়ে জীবনযাপন করছে এসব গ্রামের লোকজন। বক্তারা আরো বলেন, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও বালু ব্যবসায়ীরা তা মানছে না। বাধা দিতে গেলেই গ্রামবাসীর উপর হামলা, মামলা ও হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। আশি বছরের বয়বৃদ্ধ আব্দুল সামাদ বলেন, দুইবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাড়ি-ঘর সহায় সম্পত্তি সবই হারিয়েছি। এবারও যদি বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের বসত ভিটা নদী গর্ভে চলে যায়। তাহলে আর মাথা গুজার ঠাঁই মিলবে না। এই বয়সে আর গড়তেও পারবো না। তখন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আশ্রাফুল আলম, জিৎরামপুর ইউপি সদস্য আলী হোসেন, ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

এখানে কমেন্ট করুন: