নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কার্যালয় থেকে ঘুষ ছাড়া মিলছে না সরকার নির্ধারিত মাতৃত্বকালীন ভাতা। অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসের হিসাব সহকারী (কাম-কম্পিউটার) আব্দুল বাছেদ শেখ মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ প্রতিটি নারীর কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছে। যারা ঘুষ দিতে রাজি না হয় তাদের ভাতা বন্ধ থাকে মাসের পর মাস।
এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগি নারী অভিযুক্ত বাছেদ শেখের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গত ১২/০৯/২০১৯ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে শামসুন্নাহার নামে এক নারি অভিযোগ করে বলেন চারজনের মাতৃকালীন ভাতা করে দিবে এই শর্তে বাসেদকে তিন হাজার করে মোট বার হাজার টাকা দেই। পরে বাছেদ একজনের ভাতার কার্ড করে দিলে ও বাকিদের কার্ড করে দিবে দিচ্ছি বলে মাসের পর মাস হয়রানি করছে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রাপ্ত শারমিন আক্তার, তাসলিমা বেগম, মনিসহ একাধিক নারী জানান,ওই অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে যাচ্ছিলেন।
গত তিন মাস ধরে তাদের ভাতা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জানতে তারা ওই অফিসের হিসাব সহকারী বাছেদ শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে দাবি করে। টাকা দিলে পূণরায় তাদের ভাতা চালু হবে জানায় তিনি।
কিন্তু টাকা দেওয়ার পর ও বাছেদ ওই মহিলাদের মাসের পর মাস হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে আব্দুল বাছেদ শেখের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এটি ভুল বুঝাবুঝি ছিল। বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওশন আরা জানান, টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার কানে এসেছে। অনেক সময় একাউন্ট কারীর ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে ভাতা পেতে সমস্যা হয়। হয়তো সেসব ঠিক করার জন্য কিছুটা খরচ চেয়েছিল। তবে এসব বিষয়ে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই।
এব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা ইয়াসমিন জানান, ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।