নরসিংদীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মিথ্যা মামলা যাহার নং- রায়পুরা সি, আর, মামলা নং ৩৪৩/১৯ ইং রায়পুরা থানার পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করায় বিচারক তিন সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ আগষ্ট বিকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফফার প্রতারক সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে গ্রেফতার করে। সে রায়পুরা মরজাল এলাকার খোরশেদ আলমের পুত্র। তার নিকট হইতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সিল ও বিভিন্ন লোকদের জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়াও গৃহহীন আয়েশা খাতুনের কাছ থেকে জায়গা উদ্ধার ও তদন্ত করার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে ৫ হাজার টাকা দাবী করে ৩ হাজার টাকা নেয়।
এই ব্যাপারে একটি মামলা হয় যাহার নং রায়পুরা থানার মামলা নং ৩১(৮)১৮ ইং। উক্ত মামলাটি সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট মনিশা রায় এর আদালতে বিচারাধীন আছে। মামলার বাদীকে আসামী সাইফুল ইসলাম প্রাননাশের হুমকি দিলে সাংবাদিকরা প্রতারকের বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট করে।
প্রতারক মামলার কথা গোপন রেখে তিন সাংবাদিক হৃদয় খান, শফিকুল ইসলাম মতি, বশির আহম্মেদ মোল্লার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের ২৫ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা আদালতে দায়ের করলে আদালত রায়পুরা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: লৎফর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোন স্বাক্ষী প্রমান পাওয়া যায়নি মর্মে একটি রিপোট আদালতে দাখিলের পর গত কাল ৭ অক্টোবর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামিমা আক্তার তিন সাংবাদিককে মামলা থেকে অব্যহতির আদেশ প্রদান করেন।