হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনে ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাসের সুপার ভাইজার মানিক মোল্লা (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনে বাসে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠে সুপারভাইজারের উপর। গ্রেপ্তারকৃত মানিক মোল্লা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে। তিনি এনা পরিবহনের কর্তব্যরত সুপারভাইজার।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান, জানান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের একটি পরিবার এনা পরিবহনে (ঢাকামেট্টো-ব-১৪-৭৮৫১) ঢাকা যাচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা এনা পরিবহনে উঠার পর শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পাড় হবার পর সুপারভাইজার কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে গাড়ীর পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী আর্তচিৎকারে তার পিতাসহ অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার কবল থেকে রক্ষা করেন।
এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে মারধর করে। যাত্রীরা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা নামক স্থানে গাড়ী থামিয়ে অভিযুক্ত সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
ভিকটিমের পিতা জানান, তিনি ঢাকার টঙ্গীর পাঠান বাড়ি এলাকায় সপরিবারে একটি ফুলের বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার মেয়ে স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
তবে গাড়ির সুপার ভাইজার মানিক মোল্লা এ ঘটনায় নিজেকে নির্দেশ দাবি করে বলেন, তিনি মেয়ের পাশে সিটে বসেছিলেন। হঠাৎ গাড়ির স্পিড ব্রেকারে ঝাঁকুনি লাগলে ঘুম থেকে জেগে কেঁদে উঠে। তখন মেয়ের মা, মামা, বাবা তাকে মারপিট শুরু করে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা সুপার ভাইজার মানিক মোল্লাকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।