মো: শফিকুল ইসলাম:নরসিংদীর দগরিয়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সোমবার(২০ জানুয়ারি) সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের দগরিয়া গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার। ইউএনও বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি নাবালোক মেয়েকে সাবালোক দেখিয়ে চিনিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো:নুরুজামান মেয়েটির বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন প্রদান করে ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৫ বছরের এক মেয়েকে কুস্টিয়া জেলার কসবা এলাকার একাবর আলীর পুত্র সুজাত আলীর সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে তিনি পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন। তাঁদের দেখে মেয়ের মাসহ অন্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে তারা এসে মেয়েটির এক বড় বোন এবং ভগ্নিপতি মা ১৮ বছর আগে তাকে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ও সচিবকে ডেকে আনলে তারা এই জন্ম নিবন্ধন দেননাই বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় উপস্তিত ছিলেন সদরের এসিলেন্ট মো: শাহআলম মিয়া, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সদর থানার ওসি সৈয়দুজামান সহ সাংবাদিকরা।
প্রকাশক: শফিকুল ইসলাম মতি
সম্পাদক: মো. হৃদয় খান
নিউজ সময়