নরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সোনিয়া (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে।  আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তাদের স্থানীয় রায়পুরা, পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (অপারেশন) দেব দুলাল এসব তথ্য জানান।
নিহত সোনিয়া কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে এবং সদাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আহতরা হলেন- কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে শবুর মিয়া (৫০), সৈয়দ জামানের ছেলে জাকির মিয়া (৩৮), জিতু মোল্লার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০), জালাল মিয়া (৪০), মৃত তাহের মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৬০), ছেলে হেলাল মিয়া (৩২), অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ মুক্ত আক্তার, শান্ত মিয়ার স্ত্রী আনু (৩৩), হযরত আলীর ছেলে মগল হোসেন (৩৮), ইনু মিয়ার ছেলে মাছুম (২৫) ও বাছেদ (৩২)।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া এবং যুবলীগ নেতা নাসির খানের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৬টি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কালিকাপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার (৩২) ও আবু সামাদের ছেলে সবুজকে (২৪) আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। তাই শুক্রবার রাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শনিবার সকালে হঠাৎ দু’পক্ষের লোকজন টেঁটা-বল্লমসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্রীসহ দু’পক্ষের ১১ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাতে হাসপাতালে একজন স্কুলছাত্রী মারা যায়।
এখানে কমেন্ট করুন: