মো: শফিকুল ইসলাম : নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে সুলতানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গার্মেন্টস কর্মি মারা গেছেন। আজ সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানা নারায়গঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো।
জানাজায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ¦র ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন সুলতানা। সর্বশেষ নারয়নগঞ্জ জেলাকে লকডাইনের পর বন্ধ হয়ে যায় শিল্প কারখানা। এরই মধ্যে গতকাল তার শ^াস কষ্ট শুরু হয়। পরে সে গতকাল বুধবার রাতে নারায়নগঞ্জ থেকে নরসিংদী নিজ বাড়ী আলোকবালীতে চলে আসেন। সকালে তার শ^াস কষ্ট আরো বেড়ে যায়। তাই বটতলী এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই সুলতানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে তার লাশ স্বামীর বাড়ী কাজির কান্দি গ্রামে নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ থাকায় গ্রামের লোকজন তাকে স্বামীর বাড়ীতে দাফন করতে দেয়নি। পরে লাশ নিয়ে পুনরায় বাবার বাড়ী আলোকবালীর উদ্যেশে রউনা দেয়। সব শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত লাশ নদীর ঘটে নৌকায় পড়ে আছে।
এদিকে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত বিজয় ও দুলাল নামে দুই গার্মেন্টস শ্রমিক নিজ বাড়ী হাজিপুর এলাকায় আসলে গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে পুলিশ খবর দেয়া হলে তারা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে নরসিংদীতে এখন পযর্ন্ত মোট তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা হলো রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের একজন ও ডৌকারচর ইউনিয়নের ডৌকারচর গ্রামে একজন এবং পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকার একজনসহ মোট তিন জন।
এদিকে শাহপুর গ্রামসহ আশেপাশের ৫টি গ্রাম, ডৌকারচরের একটি গ্রাম এবং পলাশের ইসলামপাড়া গ্রামটি সহ নরসিংদী জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩১ জনকে রাখা হয়েছে।
এখানে কমেন্ট করুন: