(নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি’র প্রতিবাদ সভার ভিডিও সংযুক্ত)
[embed]https://youtu.be/Vi1Z3xzWnxg[/embed]
স্টাফ রিপোর্টার: গত ১৬ এপ্রিল নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্সের সঞ্চালক ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরু, নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলী হোসেন শিশির, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বললেন, আপনি কার সাথে কথা বলতে চান?। উত্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়ার সাথে কথা বলেন।
নরসিংদী যেহেতু শিল্প এলাকা সেই সুবাদে পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলী হোসেন শিশিরের সাথে কথা বলতে চান।
নরসিংদী চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সে সময় স্বল্পতার কারণে বক্তব্যে আমি সদরের মাননীয় এমপি নজরুল ইসলাম হিরু, বীরপ্রতীকের নাম উল্লেখ করতে পারিনি। কিন্তু যতটুকু সময় পেয়েছি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কথা বলেছি। সেই সাথে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগের কথা জানিয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
এসময় ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার সুযোগ পান নি নরসিংদী সদর আসনের মাননীয় এমপি নজরুল ইসলাম হিরু। এতে মাননীয় এমপি মহোদয়ের সমর্থকরা ইষ্বান্বিত হয়ে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নেতা এস এম কাইয়ুয়ের সাথে সমন্বয় করে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী টেক্সটাইল শ্রমিক নেতা মান্নান, ইব্রাহিম যারা প্রায়ই নরসিংদীতে শ্রমিক অসন্তোষের মূল হোতা- তাদেরকে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং রাষ্ট্রের আইন অমান্য করে (লকডাউন উপক্ষা করে) আমার বিরুদ্ধে ন্যাক্কারজনক কাজটি করিয়েছেন।
যেখানে নরসিংদীর পৌর মেয়র মহোদয় হটলাইন নাম্বার চালু করেছেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় হটলাইন নাম্বার চালু করেছেন, মাননীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় রয়েছেন। তারা কাউকে জানায় নি তারা অভুক্ত আছে। এমনকি আমাকে অথবা চেম্বারের পরিচালক কাউকে জানায়নি। তারা প্রকৃত শ্রমিক না, শ্রমিক নামধারী দুষ্কৃতিকারী। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করে এই ন্যাক্কারজনক কাজটি করিয়েছেন। শিল্প উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় কতৃক আমি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সিআইপি ঘোষিত হয়েছি। আমার মানহানীর জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
আমি ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি লোকও না খেয়ে থাকবে না এবং এটা আমি মনে প্রাণে ধারন করি ও বিশ্বাস করি। আমি আমার বক্তব্যের কোথাও বলিনি নরসিংদী চেম্বারের সভাপতি বা চেম্বার ২ লক্ষ শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করবো। সেই সাথে আমি জানিয়েছি, আমরা নরসিংদী চেম্বারের পক্ষ থেকে ২ হাজার শ্রমিককে ইতিমধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। আগামী রমজানেও আরো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
বিগত নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনেও সদরের মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বিরোধীতা করেছিলেন এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজে নির্বাচন প্রাঙ্গনে উপস্থিত থেকে আমাকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নরসিংদী জেলার ব্যবসায়ীদের বিপুল সমর্থনে আমার পূর্ণ প্যানেল বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয় এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের সমর্থিত পূর্ণ প্যানেলটি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।’
এ বিষয়ে এমপি হিরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিভ হয় নি।