নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীর শিবপুরে জোড়া খুনের মামলার অন্যতম স্বাক্ষী মামুনকে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল রাত ১০টায় শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সজনেরা জানায়, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর ওই গ্রামের শুক্কুর আলীর দুই পুত্র জামাল উদ্দিন ও খোরশেদ আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতদের বড় ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে শিবপুর মডেল একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা এখনো পলাতক আছে।
পরে আটক চারজনও জামিনে বের হয়ে বাদী পক্ষের লোকজন ও স্বাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি সহ বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে ফেলে।
বুধবার সকালে মামলার অন্যতম স্বাক্ষী বাড়ৈগাঁও গ্রামের রমিজ উদ্দিনের পুত্র মামুন মিয়া শিবপুর উপজেলা পরিষদে একটি সভায় যাচ্ছিলেন। পথে ওই মামলার আসামি একই গ্রামের মৃত সোবাহান মিয়ার পুত্র সিরাজ উদ্দিন তার গতিরোধ করে এবং তাকে মেরে ফেলার ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মামুন ঘর থেকে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পিছন দিক থেকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন বের হয়ে ওই গ্রামের মৃত জবান মিয়ার পুত্র লোকমানকে ধরতে সক্ষম হলেও পরে সে পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত শিবপুর থানায় মামলা করা হয়নি।
শিবপুর মডেল থানার(ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত আছি। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে।