মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত চালকের নাম মান্নান। তবে পুলিশ বলছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে রাতেই এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের কথা বলা হয়েছে। নিহত মান্নান নেহাবো টাংগাই গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। নিহত মান্নানের ছোট ভাই মিলনের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকালে মান্নান তার সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়ায় নিয়ে কালীগঞ্জ থেকে ফিরছিলেন। এ সময় ব্রিজ এলাকায় নরসিংদী সীমান্তে পৌঁছালে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্য অটোরিকশাটি থামিয়ে মান্নানকে মারপিট করে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর আমরা ঘোড়াশাল ফাঁড়িতে গিয়ে মান্নানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় ভাইকে ঘোড়াশালের রৌশন জেনারেল হাসপাতালে ও পরে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রাতে টঙ্গী-পাঁচদোনা সড়কের ভাটপাড়া এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।খবর পেয়ে জেলা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে অবস্থা স্বাভাবিক করে।
পরে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা ঘরে ফিরে যান।এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার সাহেদ আহমেদ জানান, মৃত মান্নান হার্টের রোগী ছিলেন। তিনি লকডাউনের মধ্যে অটোরিকশা চালিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কালীগঞ্জ যান। ফেরার সময় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অটোরিকশাচালকের মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে পুলিশ সুপারের বরাবরে রিপোর্ট দাখিল করার কথা রয়েছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার সাহেদ আহমেদ।