চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মকরমপুর ঘুন্টি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাক আলীর স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম প্রায় ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা।আল্ট্রাসোনেগ্রাফিতে ভুল প্রতিবেদন আসায় গর্ভের সন্তান হারাতে বসেছিলেন এক প্রসূতি। তাকে গর্ভপাত করাতে পরমর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। তবে অন্য দুটি হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হলে ওই নারীর গর্ভের সন্তান জীবিত ও সুস্থ আছে বলে জানানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে। জানা গেছে, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মকরমপুর ঘুন্টি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাক আলীর স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম প্রায় ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা। গত বৃহস্পতিবার অনাগত সন্তানের অবস্থা জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফির সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরে জনসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মোজাম্মেল হকের কাছে আল্ট্রাসোনেগ্রাফি করেন ফেরদৌসি। রিপোর্ট দেখে তার গর্ভের সন্তান মৃত বলে জানান ডা. মোজাম্মেল। তাকে গর্ভপাতের পরার্মশও দেন তিনি।
সন্দেহ হলে গত শুক্রবার রহনপুর জেনারেল হাসপাতাল ও আল মদিনা ক্লিনিকে দুই দফা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয় ফেরদৌসির। পরীক্ষার প্রতিবেদনে তার সন্তানকে জীবিত ও সুস্থ বলা হয়।
ভুল প্রতিবেদন দেওয়া প্রসঙ্গে জনসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এটা ভুল হয়েছে। আমি ভুল করেছি।’
উল্লেখ্য, গতমাসে একই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না।
প্রকাশক: শফিকুল ইসলাম মতি
সম্পাদক: মো. হৃদয় খান
নিউজ সময়