এয়ারবাস এ ৩২০ মডেলের উড়োজাহাজটি করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ৷ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি লাহোর থেকে যাত্রা করেছিল৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্য মেজর মোহাম্মদ মনসুর৷ ধ্বংসাবশেষের নিচে আরো প্রায় ৫০ জনের মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ টুইট বার্তার মাধ্যমে হতাহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷

বিমানটির অন্তত দুইজন আরোহী বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিন্ধ প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী সৈয়দ নাসির হোসেন শাহ৷ প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে বিমানটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইজাজ আহমেদ শাহ৷

দুর্ঘটনার পর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘‘বিমানটি করাচিতে বিধ্বস্ত হয়েছে৷ আমরা যাত্রী সংখ্যা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু প্রাথমিকভাবে (জানা গেছে) এতে ৯৯ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু সদস্য ছিলেন৷’’ রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটি লাহোর থেকে আসছিল বলে জানান তিনি৷এদিকে পিআইএ এর মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত পিকে ৮৩০৩ ফ্লাইটটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ বিমানটিতে ৯১ জন যাত্রী এবং সাতজন ক্রু ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দুই থেকে তিনবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল৷ স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরের তাৎক্ষণিক ছবি প্রকাশ হয়েছে৷ এসময় দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়৷ দুর্ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী৷

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখার পর সম্প্রতি বাণিজ্যিক বিমান চলাচল চালু করেছে পাকিস্তান৷খবর- ডন অনলাইন।

এখানে কমেন্ট করুন: