শিবপুর প্রতিনিধি: শিবপুর মডেল থানার ওসির আদেশ মানছেনা ভূমিদস্যু আকতার। মোহাম্মদ আলী জানায়, ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় জয়নগর চোরাস্তা বাজারে ফের ব্যাবসায়ীদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় ভূমিদস্যুরা। তাদের খুটির জোর কোথায়। ইতি পূর্বে প্রকাশ্যে চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা দিলে ভূমিদস্যু আকতার গংদের বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক নবচেতনা, দৈনিক নওরোজ, দৈনিক গ্রামীন দর্পন ও নিউজ সময়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে ভূমিদস্যু আকতার হোসেন গংদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শিবপুর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন আদালত। ফলে আদালতের আদেশ অমান্য করে ব্যাসায়ীদের দোকানে ভূমিদস্যুরা তালা ঝুলিয়ে দিলে শিবপুর মডেল থানার ওসির তত্ত্বাবধানে ওসির অফিস রুমে সম্প্রতি এক সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খান, শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ মৃদা, ছাত্রনেতা আসাদ মিয়া ও জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ভূমিদস্যু আকতার হোসেন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঘটনাটির মিমাংসার স্বার্থে এক সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। ফলে দরবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওসির নির্দেশে তালা খুলে দেয় ভূমিদস্যুরা। সালিশ দরবারে ভূমিদস্যু আকতার হোসেন জাল দলিলের মাধ্যমে মোহাম্মদ আলী গং দের দখলকৃত দোকানঘর দাবি করে ভূমিদস্যু আকতার হোসেন। ঘটনাটি মিমাংসার স্বার্থে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মোহাম্মদ আলীর বরাবরে দোকান রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ক তফসিলের সরকারী সম্পত্তি থাকায় ভূমিদস্যু আকতার হোসেন জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে মোহাম্মদ আলীর নিকট টাকা চাইলে জমি রেজিষ্ট্রি ব্যতিত টাকা দিতে অস্বীকার করায় মোহাম্মদ আলী গং দের নিকট থেকে ক্রয় কৃত দোকান মালিক আনোয়ার হোসেনের দোকানে ফের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। এ ব্যপারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ভূমিদস্যু আকতার হোসেন গংদের বিরুদ্ধে গত ২০/৮/১৮ ইং তারিখে শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও শিবপুর মডেল থানার এস আই শামিনুর রহমান(শামিম)ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আক্তারের উপস্থিতে দোকান ঘর থানা হেফাজতে নেয়। অথচ শান্তি শৃঙ্খলা ভংঙ্গ কারী ভূমিদস্যু আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন। ফলে জয়নগর চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসায়ীরা ভূমিদস্যু আক্তার হোসেন গংদের ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন পার করছে। এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসির কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। এসব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন।