ফের ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভারতের লাদাখ অঞ্চল ঘেঁষা সীমান্তে চীনা সৈন্যদের টহল দিতে দেখা যায়। আর এতে করেই ভারত সরকার নড়েচড়ে বসেছে। ফলে ১৯৯৯ সালের কারগিলের পর সীমান্ত নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছে ভারত।
সাম্প্রতিক এক স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় প্যাংগং লেক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশাল এক বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করছে চীন। এই সীমান্তের কাছেই গত ৫ ও ৬ মে ছোটখাট এক দাঙ্গা বেধেছিল চীন ও ভারতের সৈন্যদের মাঝে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়। যেখানে গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ডিট্রেসফার ওপেন সোর্স থেকে শ্যাডোব্রেইক ইন্টিলের বিশ্লেষক তিব্বতের নাগারি গুনসা বিমানবন্দর দেখানো হয়।
স্যাটেলাইটে দুটি ভিন্ন সময়ে তোলা একই জায়গার ছবি প্রকাশ করা হয়। যেখানে প্রথমটি ৬ এপ্রিল ২০২০ ও দ্বিতীয়টি ২১ মে ২০২০। তবে এই অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে বিস্তর ব্যবধান দেখা যায় জায়গাটিতে। ছবির একটি জায়গায় ব্যাপক নির্মাণ দেখা যায়। এছাড়া তৃতীয় একটি ছবিতে একটি ট্র্যাকে চারটি যুদ্ধ বিমান দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে জে-১১ ও জে-১৬ রয়েছে। যা চাইনিজ পিপল’স লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সে ব্যবহৃত হয়।
এই ১১ ও জে-১৬ রাশিয়ান সুখোই ২৭ ও ভারতীয় বিমানবাহিনীর সুখোই ৩০ এর সঙ্গে মিল রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মে) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশের সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দেশকে সুরক্ষা দিতে সবরকমভাবে প্রস্তুতি থাকা চাই। আর এ কথা তিনি তখনই বললেন, যখন ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, অন্তত ১০০ তাঁবু বানিয়ে লাদাখের কাছে ঘাঁটি বসিয়েছে চীনা সেনাবাহিনী।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতও অংশ নেন বৈঠকে।