দেশের অধস্তন আদালতসমূহকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে পরিণত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ এক বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর আগামী অর্থবছরের এই বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করেন।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেট এবং বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাজেট।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অধস্তন আদালতসমূহকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে পরিণত করা হবে। প্রতিটি আদালত এবং বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন দপ্তর যেমন থানা, হাসপাতাল, কারাগার এবং সম্পৃক্ত ব্যক্তি যেমন তদন্তকারী, সাক্ষী, আইনজীবী, আসামি ইত্যাদি সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বিধায় মামলা ব্যবস্থাপনা দক্ষ হবে। এতে বিচারপ্রার্থী জনগণের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীগণ শিগগির এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। সুত্র:বাংলা নিউজ২৪.কম