রাজধানীর গুলশানের বাসায় চোর ঢুকেছে। আমেরিকায় বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় তা দেখে এক সহকর্মীকে জানান মার্কিন নাগরিক রিক হাবার্ড। পরে ওই সহকর্মী অবগত করলে গুলশান থানা পুলিশের একাধিক টিম বাড়িটিতে যায়। প্রথমে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে দোতলা বাসায় গিয়ে আটক করা হয় মাসুম (২১) নামের এক চোরকে। শনিবার (১৩ জুন) রাত ১০টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, আটক হওয়া মাসুম পেশাদার চোর। সে একাধিক চুরির ঘটনায় জড়িত। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চুরি শুরু করে সে।
পুলিশ জানায়, মাসুমকে নেদারল্যান্ডসের এক নাগরিকের বাসায় চুরির ঘটনায় আগের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আটক হওয়া মাসুমের বাবা মৃত সুলতান হাওলাদার। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। ঢাকায় তার কোনও ঠিকানা নেই বলে সে জানিয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক চোর মাসুম
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি পুলিশকে মার্কিন এক নাগরিকের বাসায় অজ্ঞাত ব্যক্তির প্রবেশের তথ্য দেয়। পুলিশ বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে ছুটে যায়। জঙ্গি-সন্ত্রাসী কোনও গ্রুপ কিনা এই সন্দেহে পুলিশের অন্তত ১৫-২০ জন সদস্য সেখানে গিয়েছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছুটে যান ঘটনাস্থলে। প্রথমে বাড়িটি চারদিক থেকে ঘেরাও করা হয়। পরে হ্যান্ডমাইক দিয়ে চোরকে দরজা খুলে দিতে বললে মাসুম বেরিয়ে আসে। পুলিশ তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে গ্রিল কেটে সে ওই বাসায় ঢুকেছিল।
পুলিশের একজন কর্মকর্তার দাবি, চোর মাসুম কিছুটা চতুর প্রকৃতির। সে একেক সময় একেক কথা বলে। ধরা পড়ার একদিন আগেই ওই বাসায় প্রবেশ করেছিল বলে জানায় মাসুম।
তবে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য পুলিশ ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। তবে এ বিষয়ে আইনি কোনও পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মার্কিন ওই নাগরিক বাংলাদেশের নর্থ এন্ড কফি রোস্টারসের মালিক।