বাংলাদেশ তাঁতীলীগ, নরসিংদী জেলা শহর শাখার উদ্যোগে ব্যানার করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান করলো কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মন্তাজউদ্দীন ভূঁইয়া। অথচ জেলা কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক কিংবা কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি এই বিষয়ে বিন্দুমাত্রও অবগত নন।
কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদকের ফেসবুক একাউন্ট থেকে মিথ্যা তথ্য জড়িয়ে স্ট্যাটাস দেন। তিনি সেখানে লিখেন “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বাষিকীতে বাংলাদেশ তাতীলীগ ও নরসিংদী জেলা ও শহর তাঁতীলীগের উদ্যোগে চারা বিতরন ও বৃক্ষ রোপণ কমসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কমসুচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ তাতীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তাতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষক লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম ভূইয়া, জুবায়ের আহান্মদ, মিয়া মুঞ্জুর, মৃনালকান্তি সাহা,হান্নান মিয়া, মনির হোসেন মিঠু, সানাউল্লাহ ভুইয়া,জুয়েল মিয়া সহ নেতৃবিন্দ। সভাপতিত্ব করেন জয়নাল মোল্লা।” প্রকৃতপক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানে তাঁতীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ যাকে উদ্ধোধক বলা হয়েছে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
এমনকি বাংলাদেশ তাঁতী লীগে সভাপতি, সততার মূর্ত প্রতীক, ক্লিন ইমেজের নের্তৃত্ব শওকত আলী ইঞ্জিনিয়ার এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র অবগত নয়। অনুষ্ঠানে জেলা কমিটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু জেলা কমিটির আহব্বায়ক কায়কোবাদ কানু এবং সদস্য সচিব কাজী সোহেল কেউ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
শহর শাখা তাঁতী লীগের কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাককে সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কৃত হলেও তাকে সাথে নিয়েই উক্ত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামি মন্তাজউদ্দীন ভূঁইয়া। বহিষ্কৃত আব্দুর রাজ্জাককে উক্ত অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে নরসিংদী জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ কানুর কাছে জানতে চাইলে , তিনি জানায় এ অনুষ্ঠানে বিষয়ে তিনি বিন্দুমাত্রও অবগত নন।
তিনি বলেন মন্তাজউদ্দীন ভূঁইয়া নিজেই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এর নাম দিয়ে অনুষ্ঠান করেছে। বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি শওকত আলী ইঞ্জিনিয়ার নরসিংদীর একজন সুনাগরিক হয়েও এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানেন না। যদিও সংগঠনের প্রোটোকল অনুযায়ী বিষয়টি তিনি অভিহীত হবার পর, অনুমতি দিলেই এমন আয়োজন হওয়ার কথা।
তাঁতী লীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে মূল্যায়ন করার পর মন্তাজউদ্দিন এখন সভাপতিকেউ তোয়াক্কা না করে এখানে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁতী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠান করলেও এটা তাঁতী লীগের কোনো অনুষ্ঠান নয়। তবে এটা মন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান হতে পারে। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে না জানিয়ে উপস্থিত না রেখে উদ্বোধক হিসেবে লিখে উনি সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছে আমি আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ওনার এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জবাবদিহি করবে।
উল্লেখ্য যে একসময়ের তুখোড় রাজনীতিবিদ মন্তাজ উদ্দীন ভূঁইয়া লোকমান হত্যাকাণ্ডের জড়িয়ে আসামি হবার পর অভিযুক্ত আসামীদের সাথে ঐক্য করে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সমালোচিত হবার মত আত্মহননকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এতে করে তার অর্জিত সুমান নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্ধ বলেন “১০-১৫ জন লোকের উপস্থিতিতে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মিথ্যা তথ্য জুড়ে ফেসবুকে পোষ্ট করে তিনি নিজেকে সক্রিয় রাখার মিথ্যে নাটক করে যাচ্ছেন। আসলে এখন তিনি কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।”
এই বিষয়ে মন্তাজউদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তার মুঠোফোনটির বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তিনি একবার ফোন রিসিভ করেছিলেন ওনার কাছে জানতে চাইলে “কিসের প্রোগ্রাম? উনি বলে যৌথ প্রোগ্রাম। উদ্বোধক এর উপস্থিতির কথা জানতে চাইলে উনি সৎ উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।সুত্র:দৈনিক ৭১