স্টাফ রিপোটার:নরসিংদীর মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের রংপুর বাজারের পাশে ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন মূলক কাজে বাধা দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। আজ (২৫ জুলাই) শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার সামনে ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী এই মানববন্ধ করে।
মানববন্ধনে মাদ্রাসার ক্যাশিয়ার আরিফ মোল্লাহ,নবী উল্লাহ,আফছার উদ্দিন,ইছব মোল্লাহ,আব্দুল মান্নন সহ ছাত্র ছাত্রী ও এলাকা বাসী বলেন, এডভোকেট দেলোয়ার ও তার লোকজন রংপুর বাজার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ফলে মাদ্রাসার ৯৩ জন দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হয়েগেছে। এতে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি এলাকার মুসুল্লিদের নামাজের ও ক্ষতি হয়েছে। মামলা-হামলার হুমকি দিয়ে আমাদেরকে আতঙ্কে রেখেছে।
মসজিদ মাদ্রাসার স্বার্থে কথাবলায় আমাদের নামে আট লক্ষ চৌরাশি হাজার টাকার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের দাবী মসজিদ ও মাদ্রাসার স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে উন্নয়ন মূলক কাজ করে মাদ্রাসা খোলে দেওয়া হোক। অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে, এডভোকেট দেলোয়ার ক্যামেরার সামনে কথাবলতে রাজি হয়নি। দেলোয়ারের চাচা ফিরুজ মিয়া বলেন, মসজিদের জায়গাটা আমাদের বাপ-দাদার। ওয়াকফা করে দিয়েছি ছয় শতাংশ।
বাকী জায়গাটা আমাদের তবে মাদ্রাসা বন্ধে করার পক্ষে আমি না। মানবন্ধনে এলাকাবাসী আরো বলেন এডভোকেট দেলোয়ার ও তার লোকজন আমাদেরকে মসজিদে আসতে বাধা প্রদান করে ও মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এতে করে ছাত্র ছাত্রীদের লেখপড়া বন্ধ হয়েগেছে। আমরা এ সমস্যাটার সুষ্ঠু সমাধান চাই। অভিযোগের বিষয়টি জানতে মাধবদী থানার এস আই সুবল চন্দ্র পাল কে মোবাইলে কল দিলে তিনি জানান, দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন আছে, সত্য-মিথ্যা যাচাই সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মসজিদ/মাদ্রাসার নামে ওয়াকফাকৃত সম্পত্তিতে জবর দখল পূর্বক বাধা প্রদানের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আলহাজ্ব খন্দকার মোঃ সেলিম মিয়া।
এব্যাপারে নুরালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ খাদেমুল ইসলাম ফয়সালের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন বংপুর বাজার মসজিদ ও মাদ্রাসার বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে, সমাধানের লক্ষে উভয় পক্ষ কে পরিষদে ডেকে ছিলাম , পরিষদের অফিসে খন্দকার সেলিম সাহেবের পক্ষের লোকজন এসেছিল, কিন্তু এডভোকেট দেলোয়ারের কোন লোক জন অফিসে আসেনাই।