মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:নরসিংদীতে সদ্য বদলী হওয়া গনপুর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ই-জিপি টেন্ডারে অনিয়ম এবং পিপিআর এর বিধি না মেনে অর্থের বিনিময়ে নিদিষ্ট কিছু ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার বিষয় সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা। গত ২৯ জুন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী,সচিব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রানালয়,প্রধান প্রকৌশলী,মহাপরিচালক,সচিব পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়, বরাবর মেসার্স পারুল এন্ড ব্রাদার্স,মেসার্স আকিব ট্রেডাস,মেসার্স রাহাত এন্টারপ্রাইজ,মেসার্স রুপা এন্টারপ্রাইজ নামে ১ম শ্রেনীর ঠিকাদারা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগে বলেন নরসিংদীর গণপূর্ত অধিদপ্তরের তালিকা ভূক্ত ঠিকাদারগন ই-জিপি প্রদ্ধতিতে আহবানকৃত ই- টেন্ডার এ যথানিয়মে অংশগ্রহন করে থাকে। বিশ^স্ত সুত্রে জানতে পারে, টেন্ডার সঠিক থাকা সত্তেও তাদের টেন্ডারকে নন রেসপনসিব করে পছন্দমত নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে অর্থের বিনিময়ে লটারীতে বিজয়ী করা হয়ে থাকে।তাদের টেন্ডারে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদারগনেকে অবহিত না করেই গোপনে লটারী করে থাকে যার কিছুই তারা জানতে পারেনি উল্লেখিত দপ্তর হতে।

কাজের টেন্ডার করার পূর্বেই যাদেরকে কাজ বন্টন করা হয় শুধু মাত্র সেই ঠিকাদারই লটারীতে বিজয়ী হয়।সেপেক্ষিতে তাদের ধারনা তাদের টেন্ডারকে নন রেসপনসিব করেই লটারী করা হয়ে থাকে। অভিযোগে কিছু টেন্ডারের আইডি উল্লেখ করেন তারা।
৪৬২৩০৬,৪৬১৯৭৭,৪৬১৯৩৩,৪৬১৯৩৯,৪৬১৯৫৭,৪৬১৯৬২,৪৬১৯৮১,৪৮১৯৮৯,৪৬১৯৯৩,৩৩৩০১৯,৩৩১৬৪২ এবং ৩৩১৭১৭ এসব টেন্ডার আইডি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করেন তারা। অফিস সুত্রে জানাযায় অভিযোগের বিষয়ে হেড অফিস তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মনিরুজামানের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বদলী হয়ে জিনাইদহ আছি।আমার বিরুদ্ধে কিছু ঠিকাদাররা একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমি কোন দুর্নীতি করিনি।বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুজামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়ে গত মঙ্গলবার হেড অফিস থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি আসে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর জানা যাবে কি পরিমান দুর্নীতি হয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: