মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী: নরসিংদী সদর উপজেলা করিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুরে সাবেক মেম্বার রইস মিয়া ও বর্তমান মেম্বার শাহবাজ এর মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ চলে আসছে। গত ৭ আগস্ট সাবেক মেম্বার রইস মিয়ার সমর্থক মফিজ মিয়ার ছেলে সালমান শাহ (২৩) রসুলপুর বাজারে বাজার করতে রায়।
এ সময় বর্তমান মেম্বার শাহবাজের সমর্থক আকরাম, পিতা- রমজান (২) এরশাদ মিয়া, পিতা- শাহবাজ মেম্বার (৩) অহিদ, পিতা- সরাজ (৪) অলি, পিতা- মজিবর (৫) ছত্তর, বশির, আনার,ওহিদ,রহমান,আক্রাম,ডালিম,শরিফ গং সালমার শাহকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে ঘেরাও করে বেদম মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৪,৫৬০ টাকা ও ৩০ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় ।
এ ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং টেটা বল্লম নিয়ে টেটা যুদ্ধ করতে প্রস্ততি নেয়। সংবাদ পেয়ে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে । একই ঘটনার সুত্র ধরে ১০ আগস্ট সোমবার রইস মেম্বারের সমর্থক আশরাফুল (অটো ড্রাইভার) অটো নিয়ে রসুলপুর বাজারে যায়। তাকে দেখতে পেয়ে শাহবাজ মেম্বারের ছেলে এরশাদ ও আকরাম গং আশরাফুলকে বেদম মারপিট করে অটো ভাংচুর করে ।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আশরাফুলকে উদ্ধার করে । এসময় তারা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। এলাকাবাসী আশরাফুলকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে । পরে তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে সাবেক মেম্বার রইস জানান, বর্তমানে করিমপুর ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন চলছে। আমরা নৌকা মার্কার সমর্থনে এই এলাকায় কাজ করছি ।
আমাদের এলাকার মেম্বার আনারস মার্কার সমর্থনে কাজ করে । তবে আমাদের পক্ষে সমর্থক বেশি। আর তা দেখে আমাদের এলাকার শাহাবাজ মেম্বার সহ অন্যান্যদের গা জ্বালা উঠে। ফলে মেম্বারের নির্দেশে তার অনুগত শাহবাজ মেম্বার গং আমার লোকজনকে মারপিট করেছে।বাড়ীঘর ভাংচুর ও ছিনতাই করেছে। আমি এর বিচার চাই । সাবেক মেম্বার রইস আরও জানান, তারা বর্তমানে আমার সমর্থক কাইয়ুম মিয়ার বাড়ী সহ আরো ৪/৫ টি বাড়ী তালা দিয়েছে ।
রইস মেম্বার ও তার লোকজন জানায় তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমরা করিমপুর ইউনিয়ন বাসী।আমরা বাড়ী ঘরে যেতে পারছিনা তারা বাড়ীতে থাকা মেয়েদের উপরও হামলা চালাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে কেউ বাড়ীতে থাকতে পারছেনা।এব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানায় রইছ মিয়া ও হানিফ বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়ে আমি সংগীয় র্ফোস সহ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।