মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মানিকদি গ্রামের নুর মোহাম্মদ শেখের প্রতারক ও নারী লোভী ছেলে শতকোটি টাকার মালিক আদম বেপারী আবদুর রহিম ওরফে মাহফুজ(৪৮) এর প্রতারনার স্বীকার হয়েছে জয়নগর গ্রামের আ: বাছেদের কলেজ পড়োয়া মেয়ে শ্রাবন্তী আক্তার শিফা(১৮)।

তার পিতা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত দরিদ্রতার সুযোগে এক সময়ের হত দরিদ্র বর্তমানে শতকোটি টাকার মালিক আদম বেপারী নারীলোভী রহিম কলেজ পড়োয়া শ্রাবন্তীর পিতা মাতাকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এবং শিবপুরের বহুতল বাড়ির ফ্লেট স্ত্রীর নামে লিখে দিবে ও অসহায় পরিবারের দায়দায়িত্ব নিবে বলে অঙ্গীকার করে শ্রাবন্তীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে তার বেড়ে উঠা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে।কিন্তু কিছু সময় যেতে না যেতেই রহিম শ্রাবন্তীর প্রতি যে লালসা(মহ) ছিল তা কেটে গেলে নারী লোভী লম্পট রহিম অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে।

এবং প্রায় রাতেই রহিম শিবপুর ফ্লেট বাসায় একেক দিন একেক সুন্দরী মেয়েদেরকে এনে রাত যাপন করে বলে অভিযোগ করেন শ্রাবন্তী আক্তার। এই নিয়ে রহিমের সাথে শ্রাবন্তীর কলহের সৃষ্টি হলে রহিম শ্রাবন্তীকে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রাবন্তী ৫ মাসের অন্ত:সত্বা বিধায় রহিম তালাক দিতে ব্যর্থ হয়।এবিষয়ে রহিম শেখ ওরফে মাহফুজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার তৃতীয় স্ত্রী শ্রাবন্তী আক্তার শিফা। শিবপুর সি,আর মামলা নং ৩২৬। শ্রাবন্তী অভিযোগে উল্লেখ করেন ২০১৯ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক রহিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তিনি।

অন্যদিকে রহিমের মালশিয়ায় স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে সেটা শ্রাবন্তী ও তার পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। এবং ২০১৮ সালে শিমুলিয়া গ্রামে মুসলিম ভূঁইয়ার মেয়ে মোসলেমা আক্তার জিমিকে এভাবেই প্রতারনা করে বিবাহ করেছিল রহিম। ১০ মে ২০১৯ সালে রহিম জিমিকে যৌতুকের জন্য মারধর করেছে এমন অভিযোগ করে শিবপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করে জিমি।

২৩ জুলাই ২০১৮ সালে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে জিমির পলাশ থানার চরসিন্দুর গ্রামের মনিরের ছেলে সাইফুলের সাথে পুনরায় বিয়ে হয়। পরবর্তীতে সাইফুলের সংসার থেকে জিমিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মালশিয়া নিয়ে যায় রহিম। ওখানে জিমি একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে রহিম নিজের সন্তান অস্বীকার করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে জিমিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় লম্পট স্বামী রহিম। স্বামী স্ত্রী অমিলের কারণে রহিমের কুকর্ম ফাঁস হতে থাকলে একপর্যায়ে রহিম নোটারি পাবলিক নরসিংদীর মাধ্যমে ৭ জুন ২০২০ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক দেয় যার রেজি নং ৪৪০৭।

যাহা পরবর্তীতে ২ জুলাই ২০২০২ আবার তা প্রত্যাহার করেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে যার রেজি: নং ৫৪৬২। তাছাড়াও আব্দুর রহিম ওরফে মাহফুজ হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার পিতা নুর মোহাম্মদ শেখ এক সময় অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন যাপন করত। অসহায়ত্ব দেখে পাড়াপর্শি একজন রহিমকে মালশিয়ায় নিয়ে যায়।কয়েক বছর যেতে না যেতেই রহিম অবৈধ ভাবে আদম পাচার করতে থাকে।

প্রথমে নিজ জেলা থেকে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা থেকে অসহায় পরিবারের বেকার যুবকদেরকে মালশিয়ায় ভালো বেতনে কাজ দেবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে হাজারো পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করা এবং কয়েকজনকে মালশিয়ায় নিয়ে গিয়ে সেখানে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে কোন কাজের ব্যবস্থা না করে পাসপোর্ট হাতে দিয়ে তাদেরকে বের করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে রহিম ওরফে মাহফুজের বিরোদ্ধে জানান শ্রাবন্তী।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রহিম ওরফে মাহফুজের নেওয়া অনেক লোক অবৈধভাবে মালশিয়ায় অতিকষ্টে জীবন যাবন করছে।

এই অবৈধ উপার্জিত টাকা দিয়ে বর্তমানে আব্দুর রহিম ওরফে মাহফুজ বসুন্ধরায় ১০তলা বাড়ী, শিবপুর সৈদেরগাও দুটি বাড়ী পাঁচ ও সাত তলা মানিকদিতে তিন তলা বাড়ী নির্মাণ করেছে এবং ব্যাংক ব্যালেন্সও রয়েছে অনেক। অর্থের দাপটে সমাজে একাধিক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এখানে কমেন্ট করুন: