মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:
জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একদল সন্ত্রাসী হামলা-লুটপাট ও প্রতিপক্ষের শতাধিক চারা গাছ কর্তন করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের চর আহম্মদপুর এলাকায় সুফিয়া বেগমের জমিতে এর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিক মিয়া,মনির মিয়া,সুফিয়া বেগম,পিয়ারা বেগম,ফিরুজা,রুকিয়া বেগমকে ছোট রেখে তাদের পিতা নছুর উদ্দিন প্রায় ৩৫ বছর আগে মারা গেলে তার বড় ভাই ছফুর উদ্দিন কৌশলে এতিমের জমি দখল করে নেয়। এর পর থেকেই এতিম সন্তানরা খেয়ে না খেয়ে পরের বাড়ীতে কাজ করে জীবন ধারন করতে থাকে।
চার বছর আগে প্রকাশ পায় এতিমদের জমি অন্যায় ভাবে তাদের জেঠাত ভাই ফালু মিয়া,জালু মিয়া দখল করে রাখেছে।এতিমদের জমি দাবী করলে জেঠাত ভাতিজা সোহেলকে বাদী দিয়ে এতিমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা বাজী মামলা করে। একের পর এক হয়রানী করতে থাকে। শুরুহয় দেন দরবার অন্তত ৫০টি দরবার হয়। কিছুতেই এতিমের জমি ছাড়বেনা তারা।
অভিযোগ কারী জানায় গ্রামের মাতাব্বর গন কিছমত আহম্মদপুর মৌজায় আর এস ২০৯৮ দাগে ২০ শতাংশ,২০৯৪ দাগে ১২ শতাংশ,২০১৬,২০১৭,২০১৮ নং দাগে ৩০ শতাংশ জমির মালিকানা দেখাতে না পারায় আমাদেরকে (এতিমদের) দিয়েদেয়।
৩০ শতাংশ জমিতে ১০৫ টি গাছের চারা ও মাছডাউল রুপন করে।এতিমরা জানায় গত বৃহস্পতি বার দুপুরে জমির প্রতিবেশি সন্ত্রাসী সুলমান(৫০)বজলু(৩০)এতিমদের কাছে জমি দখলের বিষয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে না দেওয়ায় জমি থেকে ১০৫ টি চারাগাছ কেটে নিয়ে যায় এবং গরু ছাগল দিয়ে মাছডাউল ক্ষেত নষ্ট করে অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।এ সময় বাধা দিলে এতিম সুফিয়া,স্বপনা,রেনু বেগমকে মারপিট করে আহত করে সন্ত্রাসীরা।পরে এলাকা বাসি এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ডা, দিয়ে চিকিৎসা করায়।
এ ঘটনায় সুফিয়া বেগম সন্ত্রাসীদেরকে আসামি করে মনোহরদী থানায় একটি মামলা করেছে। মামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখ ন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।মানিক মিয়া জানায়, আমরা এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কেউ কথাবলতে রাজি হয়নি। স্থানীয় মেম্বার ফুরকার মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এতিম ছেলে মেয়ের উপর যে ভাবে অন্যায় করা হয়েছে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।