মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন ১০ অক্টোবর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে দাওয়া পাল্টা দাওয়া নির্বাচনী ক্যাম ভাংচুর বেশ কয়েক জন আহত হয় এ বিষয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে আসছে। এছাড়াও কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পিস্তল ও চাপাতি হাতে এক সন্ত্রাসীর ছবি ভাইরাল হয়েছে।এলাকাবাসী জানায় ঐ সন্ত্রাসীর নাম মুর্শিদ সরদার (৩০)।
সে বিএনপি পন্থী সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজা বলে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, ইতিপূর্বে সে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি করতো কিন্তু বর্তমানে নিজের কুকর্ম আড়াল করার জন্য এবং প্রশাসন থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মমিনুর রহমান আপেলের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং মমিনুর রহমান আপেলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী আপেলের খুবই ঘনিষ্ঠ এবং সরদার বাড়ির সালাম সরদারের ছেলে মুর্শিদ।
কিছুদিন আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছিল সেই ঘটনায় মুর্শিদ সহ জগৎ, আলামিন, অহিদুল সরাসরি ঘটনায় জড়িত ছিল বলে তাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।পুলিশ মুর্শিদের ভাই তারেক কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে ফেসবুকে যখন মুর্শিদের হাতে অবৈধ পিস্তলসহ ছবি দেখা যায়, এই নিয়ে এলাকার ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ও ভয় তৈরি হয়েছে।অনেকেই সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মুর্শিদের নিজ ফেসবুক আইডি থেকে ভাইরাল হওয়া ফেসবুকের ছবির নিচের অংশে দেখা যায় কিছু ককটেল বোমার ছবি, গ্রামবাসীদের ধারণা হয়তো নির্বাচনের সময় সহিংস হামলা মারামারি করার জন্যই এই প্রস্তুতি, এ বিষয়ে এলাকার ভোটারদের সাথে কথা হয়,তারা বলেন কিছুদিন আগ পর্যন্ত সবাই আশস্ত ছিল যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
সরকারদলীয় প্রার্থী কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না, কিন্তু সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন বিরোধীদলীয় কর্মীদের উপর যেভাবে প্রকাশ্যে হামলা করে, মামলা হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি, উল্টো আসামির হাতে পিস্তল সহ ছবি বোমার ছবি দেখে আতঙ্কিত সবাই, এমন অবস্থা বিরাজ করলে ১০ অক্টোবর করিমপুর ইউপি উপ নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করবে, তাই অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক তাদেরকে দমন করা দরকার, গ্রেপ্তার করা দরকার, তাহলে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট দিতে পারবে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জন বলেন টাকার জোরে এরা সব করতে পারে, গ্রামের এইসব অল্প বয়সী ছেলেদের হাতে অস্ত্র আসে কোথায় থেকে এটাতো কারোর অজানা নয়।এছাড়া নদীর ওই পার শহরের কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রায়ই মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আপেল এর পক্ষে মহড়া দেয় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তারা মুর্শিদ, জগৎ, আলামিন, অহিদুর সহ সন্ত্রাসীরা কিবরিয়ার সমর্থকদের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে, এখন ফেসবুকে প্রকাশ্যে অস্ত্র বোমা দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে আ.লীগ প্রার্থী মমিনুর রহমান আপেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এরা আমার লোক না, এ সব ঘটনার সাথে আমি আমার লোকজন জড়িত নই আমরা নির্বাচন সুষ্ঠ করার জন্য আপরান চেষ্টা করছি।উপজেলা নির্বাচন অফিসার নরসিংদী সদর জাকির মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিটা কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহীনি মোতায়েন থাকবে কেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারবেনা।যার ভোট সে দিবে জুর করে কেউ ভোট দিতে পারবেনা। কেউ আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।