মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:
নরসিংদীর রেলওয়ের জায়গা দখল করে তৈরি করা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে নি:শ্ব হচ্ছে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। লাভবান হয়েছে মধ্যসত্বভোগী কথিত লীজ গ্রহিতা। যারা লীজের নামে ব্যবসায়ী ও বাড়ির জন্য প্রান্তিক মানুষদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা পজিশন বিক্রির নামে হাতিয়ে নিয়েছে।বুধবার (২৮অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শুরু হওয়া এ অভিযান চলে বিকাল পর্যন্ত।রেলওয়ের বিভাগীয় এস্টেট কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ও নরসিংদী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক কে এম সালাহ উদ্দিন জানান, নরসিংদী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে বাসা বাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে সাবেক রেলসড়কের বাসাইল শাপলা চত্বর পর্যন্ত দুই হাজার ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। দোকানপাটসহ এসব অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রথম দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১২ শত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভুক্তভোগী বাবুল চৌধুরী জানান,দীর্ঘদিন যাবত নরসিংদী স্টেশন এলাকায় রেল লাইনের দক্ষিন পার্শে^ ১.৫৪ একর ভূমি ১/৭/২০১৪ ইং হতে নির্ধারিত ফ্রি দিয়ে লাইসেন্স গ্রহন করে পুকুরে মৎস্য চাষ করে আসছি এবং আমার মেয়াদ ছিল ৩০.৬.২০১৯ ইং মেয়াদ থাকাবস্থায় পরবর্তী ৫ বছরের নবায়ন করার জন্য বিগত ১১.৩.২০১৯ ইং তারিখে একটি লিখিত আবেদন করি আমি দখলে আছি আমি সরকারকে নবায়নের টাকা দিতে ইচ্ছুক আমার নামে লাইসেন্স আমার টাকা গ্রহন না করে নতুন একজনকে লাইসেন্স দিয়ে আমাকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করেছে।

আমার কাছে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার নামে নবায়ন না করে সম্পুর্ন গোপন রেখে শহিদুজ্জামান চৌধুরীর নামে লাইসেন্স দিয়ে আমার দীর্ঘদিনের দখল উচ্ছেদ করে সরকারের টাকা অপচয় করেছে। আমি প্রধান মন্ত্রীর কছে এর বিচার চাই। স্থানীয়রা জানায় একশ্রেণীর পেশীশক্তিধারী দখলবাজরা রেলওয়ে থেকে লীজ আনার নাম করে প্রথমে জায়গা দখলে নেয়। পরে তারা লীজের সম্পত্তি পজিশন বিক্রি করা হবে বলে প্রচার করতে থাকে।

তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দেয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভূমিহীন খেটে খাওয়া মানুষজন। তারা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ষ্ট্যম্পের মাধ্যমে জায়গার পজিশন কিনে নেয়। পজিশনের এসব সরকারী জায়গায় কেউ ব্যবসার দোকান, কেউ বসতবাড়ী নির্মাণ করে দিনযাপন করছে।উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। তাদের রুটিরোজির সব ব্যাবস্থা এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

এখানে কমেন্ট করুন: