মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর অন্য সংসদীয় এলাকাগুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে শিবপুর এলাকা। বর্তমান সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে নেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এদিকে তৃণমূলে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া মোহন। নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে পরাজিত করে চমক দেখান আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন। দশম সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচিত হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের বলয়ে থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খান বলেন, ‘স্থানীয় এমপি আওয়ামীলীগের কেউ না। তিনি বিএনপির সমর্থিত লোক ছিলেন। তৃনমুল আওয়ামীলীগের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। দলের ক্ষতি করার জন্যই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। সাড়ে চার বছরের মধ্যে তিনি আওয়ামীলীগের কোন সভা সমাবেশে উপস্থিত হয়নি। স্থানীয় এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আওয়ামীলীগের আর্দশিক রাজনীতি করেন নি। তিনি জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্য। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়েই মূলত তিনি ব্যস্ত থাকেন। তা ছাড়া শিবপুরের জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমপির সাথে যারা আছেন তারা সুবিধাবাদী রাজনীতি করেন। ইউপি নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সরাসরি আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেন। শিবপুর আসনে জহিরুল হক ভূইয়া মোহনকে ছাড়া অন্য কাউকে নৌকার প্রার্থী করা হলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জয়ী হবে।’
শিবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আজিজুর রহমান ভুলু বলেন, ‘জহিরুল হকের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সততা ও স্বচ্ছতা। আগামী দিনে এটাই তাঁকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ তিনি জবানে এক, কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেন।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপি দশম সংসদ নির্বাচনে কালো টাকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রলুব্ধ করে বিজয়ী হয়েছিলেন। যে ব্যক্তি গত নির্বাচনে নৌকার তলা ফুটা করেছিলো, তাঁর কাছে নৌকা নিরাপদ নয়, যে কারণে বিগত নির্বাচনেও জননেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবারও আমি আশাবাদী।’