মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী :নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ড্রাইভারের কাছে বোন বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ভাইয়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুুপুরে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা বাজারে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় হামলার শিকার হওয়া দশম শ্রেণির ছাত্র (ভাই) আনিছুর রহমানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগি আনিছুর রহমানের বাবা হিরন মিয়া গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদুরুজ্জামান ভূইয়ার ছেলে হৃদয় ও ড্রাইভার মাইনউদ্দিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে তিন জনের নাম উল্লেখ করে পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।বাদী হিরন মিয়া জানান, সম্প্রতি গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদুরুজ্জামানের ড্রাইভার মাইনউদ্দিনের কাছে আমার বিএ পাস মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়। এতে আমি রাজি হই নি।
পরে আমার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সময় চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় ও ড্রাইভার মাইনউদ্দিন দলবল নিয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে আমার মেয়েকে তুলে আনার চেষ্টা করেছিল। তখন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পলাশ থানার ওসির তৎপরতায় তারা সফল হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় ও ড্রাইভার মাইনউদ্দিন আমাদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়।তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় ও ড্রাইভার মাইনউদ্দিনের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গজারিয়া ইউনিয়নের সরকারচর গ্রামের নিজ বাড়ি ছেড়ে নরসিংদীর সদর উপজেলার চিনিশপুর গ্রামে গিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছি।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুুপুরে আমার ছেলে আনিছুর রহমান বাড়িতে যায়। সেখান থেকে নোয়াকান্দা বাজারে গেলে চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় ও ড্রাইভার মাইনউদ্দিনসহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ড্রাইভার মাইনউদ্দিনের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারে পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক: শফিকুল ইসলাম মতি
সম্পাদক: মো. হৃদয় খান
নিউজ সময়