মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নিউজ সময়:নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে ১৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করলেন নরসিংদী সদর থানা পুলিশ। পরে প্রথম সাড়ী গণমাধ্যমকে না জানিয়েই সংবাদ সম্মেলন করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ মোহাম্মদ রাসেল শেখ। সোমবার (১০ মে) রাত বারটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলা ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৯ মে) সকালে সদর হাসপাতালের দ্বিতল ভবনে নানী তার নাতীকে পাশে থাকা এক মহিলার কাছে রেখে ভিতরে ডাক্তারের অবস্থান দেখতে যায় ফিরে এসে দেখে ঐ মহিলা নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে গেছে ।এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রথম সাড়ী গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চুরির পরেই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে মাঠে নামেন সদর থানা পুলিশ।এর মধ্যে দুপুরে চুরি হওয়া নবজাতকের নানি থানায় একটি অভিযোগ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে রাতেই ্রব্রাহ্মন্দীর একটি বাড়িতে রাত বারটায় অভিযান চালিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা চুরি করা নারীকে শনাক্ত করেছি। সদরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করি এবং তাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেই।নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, ওই নারী চুরি করে অন্য আরেকটি বাড়িতে রেখে যান নবজাতককে।
সেখান থেকেই আমাদের একটি চৌকস টিম নবজাতকটিকে উদ্ধার করে।তিনি বলেন, এখনো কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে যে নারীর কাছ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই নারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম সাড়ী গণমাধ্যমকে না জানিয়ে কয়েকটি গনমাধ্যমকে নিয়ে দুপুরে মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন, এ সময়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন পুলিশ ফ্রেন্ডস এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই তবে মূল আসামী এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যে মহিলা শিশুটিকে চুরি করে সে মাএ দুই হাজার টাকায় নবজাতকটিকে বিক্রি করে চলে যায়, যার কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে সে তার পূর্বের পরিচিত ছিল বলে জানা যায়।