মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:নরসিংদীর মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক এর নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলায় আওয়ামী লীগের অপর পক্ষের দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছে।বুধবার (১৬ জুন) রাত ৮টায় মাধবদী পৌরসভার মোড়ে এই সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: জাকারিয়া (৩৯) ও নূরালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম (৩০)।
তাদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে বুধবার বিকালে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। শহরের রমনী কমিউনিটি সেন্টারের ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।মিটিং চলাকালে মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক ও তার সহযোগীরা সেখানে যায়।
এসময় ব্যানারে তাঁর নাম না থাকায় মিটিং না করতে নিষেধ ও গালিগালাজ করে চলে যান। মিটিং শেষে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার জাকারিয়াসহ ১০/১৫ জন নেতাকর্মী পৌরসভার মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পৌর মেয়র মানিকের নেতৃত্বে তাদের ওপর গুলি করাসহ অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাসিম আল ইসলাম বলেন, আহত দুইজনের একজনের ডান পায়ে ও অপরজনের বাম পায়ে ফোটা দেখা গেছে।
গুলিবিদ্ধ কী না পরীক্ষার পর বলা যাবে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিছিল নিয়ে এসে আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের নাম বা তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানাতে পারেননি তিনি। যোগাযোগ করা হলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্তের পর আহতের সঠিক সংখ্যা বলা যাবে।