স্টাফ রিপোটার:সোমবার (১২ জুলাই) পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি মিরপুরের পল্লবী পুলিশ স্টেশনে স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন যে, তিনি এবং তার পরিবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এমন বিবৃতি দিয়েছে।
রাজধানীতে পাবলিক বাস, রিকশা কিংবা গাড়ির যাত্রী, দোকানদার এবং পথে বসা ফেরিওয়ালাদের থেকে এই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অহরহ চাঁদা তুলতে দেখা যায়। বিষয়টি অনেকটা উন্মুক্ত চাঁদাবাজির পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হেনস্থার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আবাসিক বাসা-বাড়িতেও তাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মারমুখী আচরণে অনেকেই বিরক্ত।
অভিযোগকারী তার অভিযোগে জানান, ঈদ কিংবা বাচ্চা জন্মগ্রহণের খবর পেলে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা দল বেধে বাসা-বাড়িতে উপস্থিত হয়। তারা সাধারনত ২০০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে। কেউ তাদের টাকা দিতে রাজি না হলে বেশিরভাগক্ষেত্রেই তাদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হতে হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্থানীয় তৃতীয় লিঙ্গের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশে ১০ হাজার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে। অন্য একটি জরিপ থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ১০ হাজার থেকেও অনেক বেশি এবং তা প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। সম্প্রতি সরকার তাদের পুনর্বাসন এবং কর্মক্ষম করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থাও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এখানে কমেন্ট করুন: