মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নিউজ সময়:নরসিংদীর রায়পুরায় ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক শিশুসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় চাঁনপুর ইউপি সদস্য মো. সামছুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মহিনীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, উপজেলার একই ইউনিয়নের মহিনীপুর এলাকার আবু তাহেরের দুই ছেলে বিল্লাল মিয়া (৪৫) ও হিরণ মিয়া (৬০), মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে তাজুল ইসলাম (৫০) তার শিশু পুত্র মো. সায়েম (৫) ও অহিদ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫)।
এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে বিল্লালকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে জানান স্বজনরা।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় মন্টু মাঝির নৌকায় করে সওদাগর কান্দি ঘাট হতে মহিনীপুর ঘাটে আসেন চাঁনপুর ইউপি সদস্য মো. সামছু মিয়ার চাচাতো ভাই জয়দর ও ভাতিজা মো. এমরান। ওই সময় তারা নৌকা থেকে নেমে ভাড়া না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। এরপর গতিপথ রোধ করে ভাড়া চাওয়ায় মাঝিকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তারা।এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন মাঝি মন্টুর চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মেম্বারের নেতৃত্বে ৭/১০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এক শিশুসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এ সময় ঘরে, আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর ও লুট করেন তারা।এ ঘটনায় জড়িতরা হলেন, উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মহিনীপুর এলাকার বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য মো. সামছু তার দুই ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২২) ও মো. শুভ (২৬), একই এলাকার মৃত হোসেন মিয়ার দুই ছেলে মো. এমরান (৩০) ও সজল মিয়া (২৬), আবুল হাসিমের ছেলে মো. লীল মিয়া (৫৫), জয়দর আলী ও তার ছেলে মো. জুনায়েদ (২২)।
আহত মিজানুর রহমান জানান, প্রতিবাদ করাই মেম্বারের নেতৃত্বে তার ভাই, ভাতিজা ও ছেলে মিলে আমাকেসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। বাড়িঘর ভাঙ্গচুর ও স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।এ ঘটনায় ছেলে সাইফুল জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে চাঁনপুর ইউপি সদস্য মো. সামছু জানান, ভাড়া নিয়েই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিল্লালের হাতে আঘাত করেছে সাইফুল। এজন্য ছেলেকে গালমন্দ ও শাসন করেছেন বলে জানান তিনি।রায়পুরা থানার এসআই দেব দুলাল দে জানান, এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।