স্টাফ রিপোটার:ঢাকার ধামরাইয়ের মহাসড়কে রাতের আঁধারে ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ট্রাক ড্রাইভার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ইসলামপুরে চাঁদাবাজির এ ঘটনাটি ঘটে।

আটককৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার বামনা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মো. রমজান আলী ও ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের আমছিমুর নয়াপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা। অপরজন তাদের সহযোগী বালিয়া ইউনিয়নের হরিদাসপুর গ্রামের সোহেল রানা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের চন্দ্রাস্থ একটি কোম্পানি থেকে ২৫টি ফ্রিজ নিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন। রাত আড়াইটার দিকে ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার বাটার গেটের সামনে পৌঁছলে পুলিশ কনস্টেবল রমজান ও সোহেল রানা ট্রাক থামনোর জন্য সিগন্যাল দেয়।

ভুক্তভোগী বলেন, পুলিশের সিগন্যাল দেখে আমি গাড়িটি ওখানে থামাই। গাড়ি থামানোর সাথে সাথে আমাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায় আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি তাদের বলি, আমার কাছে তো এত টাকা নেই। এই কথা শুনে রমজান আমাকে মারতে মারতে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়।

ট্রাক ড্রাইভার আনোয়ার আরও বলেন, এ সময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে। সেইসঙ্গে ইসলামপুরে টহলরত পুলিশ এসে আমাকে ও আমার হেলপারকে উদ্ধার করে। পুলিশ কনস্টেবল রমজান ও সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সোহেল রানা নামে তাদের এক সহযোগীকেও নিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পুলিশ কনস্টেবল রমজানের পোস্টিং চট্রগ্রামের কাজিপুরে। পুলিশের দাবি, রমজান এর আগেও পুলিশের কাছে মাদক নিয়ে ধরা পড়েছিল।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল রমজানের নামে আগেও মাদকের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন সাসপেন্ড ছিলেন। নতুন করে পোস্টিং হওয়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার আগেই সে আবার অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস জানান, পুলিশ সদস্য রমজানসহ তিনজনের নামেই মামলা হয়েছে। তাদেরকে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: