মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নিউজ সময়:নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পলাশ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মুজাহিদ হোসেন(তুষার)। অথচ মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি ও হতাশা দেখা গেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আপন দুই ভাইকে কেন্দ্র করে বিভক্ত। একপক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খান(দিলিপ)। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সাংসদ কামরুল আশরাফ খান(পুটন)।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আল-মুজাহিদ হোসেন(তুষার) সাবেক সাংসদ কামরুল আশরাফ খান(পুটন)পক্ষের।পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঘোড়াশাল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভোটাভুটি করা হয়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে তিনজনকে নির্বাচিত করে তাঁদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র শরিফুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফি এবং পৌর আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন।

কিন্তু তাঁদের তিনজনের কাউকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে কেন্দ্র থেকে একজন নতুন মুখকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসস্তোষ দেখা দিয়েছে। সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খান(দিলিপ) এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি।বর্তমান পৌর মেয়র শরিফুল হক বলেন,আমি এই পৌরসভার মেয়র হিসেবে পরপর দুই দফা নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর সেবা করে আসছি। এবারও আমি আশাবাদী ছিলাম, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না।

অথচ তৃণমূলকে পাশ কাটিয়ে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে একজন নতুন মুখকে। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।বর্তমান সাংসদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, ঘোড়াশাল পৌর নির্বাচনে যাকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম তৃণমূল থেকে পাঠানোই হয়নি। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকা থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে একটি নতুন মুখকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা হতবাক।

এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসস্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁরা চান এই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকা থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক।এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আল-মুজাহিদ হোসেন(তুষার) বলেন, সাবেক সাংসদ কামরুল আশরাফ খানের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের দোয়ায় তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে মূল্যায়ন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। স্থানীয়ভাবে তাঁর জনসস্পৃক্ততা বেশি বলেই দল তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন। পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে দলের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে পৌর এলাকার নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করবেন বলে জানান তিনি।

এখানে কমেন্ট করুন: