নরসিংদীর রায়পুরায় মরহুম ইউনুছ আলী বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের দাবিতে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শনিবার সকালে রায়পুরা পৌরসভার পশ্চিমপাড়া এলাকায় মরহুম ইউনুছ আলী বিদ্যানিকেতন মাঠে এ মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদের পরিচালনায় ও সভাপতি হাজী গিয়াস উদ্দিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মরহুম ইউনূস আলী বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাজিল যুবলীগের সভাপতি প্রবাসী হাজী ইকবাল হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র মো জামাল মোল্লা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এড. ইউনূস আলী ভুইয়া, ভৈরব যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভৈরব থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক টিটু, ভৈরব যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দীন ইসলাম, ভৈরব থানা ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশার, রায়পুরা বাজার কমিটির সভাপতি ফারুক মিয়া, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ আলী ভুট্টু, বাতুর রহমান জামে মসজিদ সভাপতি সাংবাদিক বশির আহম্মেদ মোল্লা, রায়পুরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ধনু মিয়া প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, মরহুম ইউনুছ আলী বিদ্যানিকেতনটি ২০০৬ সালে পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড রায়পুরা পশ্চিমপাড়ায় অবস্থিত। এলাকায় ৩ হাজারেরও অধিক লোকের বসবাস। ওই ওর্য়াডে কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। বর্তমানে এখানে ৬ জন শিক্ষক এবং শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে শিক্ষাদান ও তাদের বই খাতা, স্কুল ড্রেস বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে হাজী ইকবাল হোসেন এর ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালটি পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য সরকারি চাহিদা মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে। হাজী ইকবাল হোসেন-এর ব্যক্তিগত সাহায্য সহযোগিতা না পেলে বিদ্যালয়টি যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়টি দ্রুত সরকারিকরণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছি। বিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন ব্যয় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আমি নিজেই দিয়ে যাচ্ছি। সরকারিকরণ করা হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্ড ইউনুস আলী ভূইয়া বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। সরকার বাহাদুর শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে নানাবিধ পরিকল্পনা করছে। পশ্চিম পাড়া এলাকাটি পৌর এলাকায় হলেও এটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে। ব্যক্তি উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে। এই বিদ্যালয়টি বন্ধ হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিদ্যালয়টি দ্রুত সরকারিকরণ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পৌর মেয়র মো. জামাল মোল্লা জানান, মরহুম ইউনুছ আলী বিদ্যানিকেতনটি রায়পুরা পশ্চিমপাড়া খুবই অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘ সাত বছর যাবত স্থানীয় ইকবাল হোসেন বক্তিগত অর্থায়নসহ স্থানীয়দের সহায়তায় পরিচালিত হয়ে আসছে। দ্রুত এই প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণ করতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।