মাজাহারুল ইসলাম ইমন, সংবাদদাতা: “স্বল্প খরচে, মানসম্মত শিক্ষা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বৃহৎ ও স্বনামধন্য বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০২৩ এর মাসব্যাপী কর্মসূচী’র উদ্বোধন করে আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে।
তারই ধারাবাহিকতায় আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩ ও ভাষার মাসে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও গুনীজন সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে রাজধানী ঢাকা ও তার আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এইউবি প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি উপাচার্য ইমিরেটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান ও এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এইউবি’র বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, ফ্যাকাল্টিবৃন্দ ও কর্মকর্তা কর্মচারী।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে বইয়ের দিকে ফিরে যেতে হবে। গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে এশিয়ান ইউনিভার্সটি’র এই চমৎকার আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই। এইউবি যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলছে বলে আমার বিশ্বাস। সম্মাননা প্রাপ্ত সুধীজনকে তিনি অভিনন্দন জানান। এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আলোচনা সভায় সভাপতি’র বক্তৃতায় এইউবি প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বলেন, বর্তমানে এইউবি’র সার্টিফিকেটধারী প্রায় ২ লাখ গ্র্যাজুয়েট বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে দক্ষ হিসেবে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতেই এগিয়ে চলছে এইউবি। সেই অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই, জাতীয়ভাবে এই দিবসটি পালন করায় অনুষ্ঠানের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভার পর গুনীজনদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এরমধ্যে অন্যতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ছিলেন সংবাদ উপস্থাপক ও মোটিভেশনাল স্পীকার লায়ন এম আলমগীর,সংবাদকর্মী ও লেখক এম এ আউয়াল, লেখক মেহজাবিন চৌধুরী, সমাজকর্মী সামিয়া অনিক নিরমা, সংবাদকর্মী সানজিদা সুইটি, গীতিকার সুরকার পাপ্পু আহমেদ, ম্যাজিশিয়ান উত্তম কুমার পল, ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন রিংকু, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ৩৬০ ডিগ্রীর ডিরেক্টর সালাউদ্দীন আহমেদ। সবশেষে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা হোসেনকে মরনোত্তর সম্মাননা দেয়া হয় ।
সবশেষে অনুষ্ঠান আয়োজক এইউবি গ্রন্থাগারিক রাবেয়া আক্তার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উদ্বোধনী সমাবেশের সমাপ্তি টানেন । এরপর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে আছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ।