মো: শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী:
নরসিংদী বিয়াম জেলা স্কুলের ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ৭ম শ্রেণীর পড়–য়া এক ছাত্রীকে ওই শিক্ষকদ্বয়ের কাছে প্রাইভেট পড়তে বলেন তারা। পরে প্রাইভেট না পড়ায় শ্রেণীকক্ষেই শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। নরসিংদীর বিয়াম জেলা স্কুলের দুইজন সহকারী শিক্ষকরা হলেন মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. ইকবাল হোসেন। গত সোমবার (১৮ জুন) এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা তানজিনা নাজনিন জেনী।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, নরসিংদী বিয়াম জেলা স্কুল এর সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগে ও মো. ইকবাল হোসেন ইংরেজি বিভাগের ক্লাস নেন তারা। এরই সুবাদে অভিযোগকারীর মেয়েসহ স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীদেরও তাদের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে উক্ত শিক্ষকদ্বয়।

এবিষয়ে অনিহা প্রকাশ করায় অভিযোগকারীর মেয়েকে মানসিকভাবে নির্যাতনসহ ওই শিক্ষার্থীর সাথে তার সহপাঠিদের মেলামেশা করতে নিষেধ করেন শিক্ষকরা। এতে ওই শিক্ষার্থী মানসিক ভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবী করেন ওই ছাত্রীর মা তানজিনা নাজনিন জেনী। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি অবহিত করলে ওই শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি এর কোনো প্রতিকার বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া প্রাইভেট না পড়ায় ওই শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে রূঢ় আচরণসহ অপমানজনক ও অনাকাঙ্খিত ভাষায় কথা বলেন সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. ইকবাল হোসেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে প্রাইভেট পড়াতে চাইলে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের আচরণের জন্য আমি নিষেধ করে দেই। যার ফলে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়াও নিজের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো হয় কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্পেশাল কিছু কিছু অভিভাবকদের অনুরোধে আমি স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াই। অভিযুক্ত শিক্ষক ইকবাল হোসেন এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান বিয়াম জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর মা আমাকে কিছুই জানায়নি। যদি জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এখানে কমেন্ট করুন: