মো: শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী:নরসিংদীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভ‚ইয়ার নামাজে জানাযায় ৫১টি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় এখনো কোনো ফোন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৬ জুন দুপুরে জেলা শহরের প‚র্ব দত্তপাড়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাযা আদায়কালে এ ঘটনাটি ঘটে। এবিষয়ে গত ১৭ জুন নরসিংদী সদর মডেল থানায় স্থানীয় সংবাদকর্মী এস. এম বিল্লাল হোসেন লিখিত একটি জি.ডি. দায়ের করেন। যাহার জি.ডি. নং-১৩৩৫।
এ ঘটনায় কোনো প্রতিকার না পেয়ে ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনার দিন সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিলাম আমরা। উক্ত জানাযা নামাজে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি সহ স্থানীয় সকল সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসনের সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বর্তমান পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু, সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সামাজিক সংগঠনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জানাজা নামাজের মধ্যেই আমার ব্যবহৃত হ্যান্ড-সেটটিসহ আরো ৫০টি মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও ফোন চুরির সাথে জড়িত কাউকে আটক বা এখনো কোনো ফোন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। চুরি হওয়া মোবাইলের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইলেক্ট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনও ছিল।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় যুগের সাথে তাল-মিলিয়ে চলতে প্রত্যেকে নিজেকে নিয়ে এখন অনেক ব্যস্ত। তেমনি আপন মহিমায় নিজেকে ফুঁটিয়ে তুলতেও পেছনে নেই যেন কেউ। আর এসবই হচ্ছে এখন এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্ট ফোনের কারণে। এরই ধারাবাহিকতায় নরসিংদীতে জেলার সর্বত্রই পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামী এসব মোবাইল ফোনের ব্যবহার। একই সঙ্গে দিনে ও রাতে অতিমাত্রায় বেড়েছে নানান অপরাধসহ মোবাইল ফোন চোরের দৌরাত্ম।
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহের মধ্যে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, হাট-বাজারসহ আদালত পাড়ায়ও অহরহ চুরি হচ্ছে আজকালের মানুষের একমাত্র তথ্য ভান্ডার মোবাইল ফোন। এই হাজার হাজার টাকার দামী ফোন চুরির ঘটনা সবারই জানা। তবুও মানুষের এই বিড়ম্বনারোধে দেখার যেন কেউ নেই। এমনই দায়সারা ভাব নিয়ে বসে আছেন সমাজের অপরাধ নিয়ন্ত্রনকারী সংশ্লিস্টরা বলে জানিয়েছেন সচেতনমহল ও ভুক্তভোগীরা।
এ বিষেয়ে তদন্তকারী অফিসার নরসিংদী সদর মডেল থানার এ এস আই আল-আমিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তবে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ থাকায় তদন্তে বিঘœ সৃস্টি হচ্ছে। শীঘ্রই চুরি যাওয়া ফোনগুলো উদ্ধারসহ এ বিষয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।