স্টাফ রিপোটার:নরসিংদীর জেল খানার মোড়ের পশ্চিম পাশে হিরু সাভির্স সেন্টারে হিরু মটর গাড়ী সার্ভিসিং করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রার্থীরা। মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর)বিকালে ভুক্ত গাড়ীর মালিক এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন ভেলানগর সাভিসিং সেন্টারে সেবা প্রার্থীদের সাথে প্রতারনা করে সঠিক পাসর্কে খারাপ বলে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাভিসিং সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ ভুক্ত ভুগীদের।
তবে শোরুমের মালিক বলছে কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিগত ৮ বছর পূর্বে জনপ্রিয় হিরু মটর সাইকেলে শোরুম গড়ে উঠে নরসিংদী ভেলানগরে বেচাকেনার ধোম পরে যায় জনপ্রিয় মটর সাইকেল হিরু শোরুমটিতে। নরসিংদী জেলায় হাজার হাজার হিরু মটর সাইকেল বিক্রি হয়। বিক্রিত মটর সাইকেলকে ঠিক রাখার জন্য সাভিসিং সেন্টার করে মালিক পক্ষ। প্রথম দিকে তাদের সাভিসিং সেবা ভাল থাকলেও বর্তমানে হয়রানীর আর এক নাম হিরু সার্ভিসিং সেন্টার ভেলানগরে শোরুমটির মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গাড়ীর মালিক বলেন একটি হিরু গ্রামার মটর সাইকেল ভেলানগর শোরুম থেকে ক্রয় করেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে মটর সাইকেলটির হেড লাইট নিবে যায় গাড়িটি ঠিকই চলছিল। এখন লাইট ছাড়া হোন্ডা নিয়ে দুরে যাওয়া যাবেনা তারজন্য হেড লাইট লাগাতে চলে যান ভেলানগর হিরু সাভিসিং সেন্টারে। সাভিসিং সেন্টার থেকে কর্মচারীরা ঠিক করে দিলে কিছুদুর আসার পর এবার গাড়ীটি বন্দ হয়ে যায়। গাড়ীর মালিক গাড়ীটি নিয়ে আবার সার্ভিসিং সেন্টারে, এখন কর্মচারীরা বেশ মনযোগ দিয়ে দেখেন এবার বলে আপনার একটি পার্স লাগবে নাম সিডিআই কি আর করা গাড়ী ঠিক করতে হলেতো লাগাতে হবে।
এখন হিরু শোরুমে কর্মচারী গিয়ে দেখেন শোরুমে পার্সটি নাই এখন মালিক বল্ল আমাকে পাসটি দেন আমি নিয়ে আসি কর্মচারী মালিককে কিছুতেই দিবেনা নিজেরা অনেক দোকানে খোজা খোজি করে না পেয়ে এবার মালিকের কাছে ৬ হাজার টাকা চান পার্স ঢাকা থেকে আনতে হবে।এবার মালিক নিজেই পার্সটি নিয়ে তেজগাঁও হিরুর প্রধান শুরুমে গিয়ে পার্সটি দেখালে তারা চেক করে সিডিআই পার্সটি ভাল আছে বলে যানায় এবং বলে আপনি পার্সটি নিলে আর কোন ফেরৎ দেওয়া যাবেনা। প্রতারণার আরেক ফাঁদ ভেলানগর সাভিসিং সেন্টারে লিখে রাখছেন গাড়ী ঠিক করার সময় মালিক পাশে থাকা যাবেনা গ্রাসের ভিতর এসি রুমে বসতে হবে মালিককে,শোরুমে কর্মচারীরা গাড়ীর মালিককে বসার জন্য বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
কারণ মালিক ৪৮ শত ১০ টাকা দিয়ে আনা সিডিআই পার্স রেখে এসি রুমে বসতে রাজি না এবার মালিকের সামনেই সিডিআই পার্সটি গাড়ীতে লাগালে গাড়ী আর চালো হচ্ছেনা।এখন কর্মচারী বলেন গাড়ীতে কারেন্ট মারেনা মেগন্টে লাগবে আবার হিরু শোরুমে মেগন্টে নেই বাহির থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে মেগন্টে আনার পরেও গাড়ী চালো হচ্ছেনা এবার বলে মবিল ও ফাগ এবং গেসকেট লাগবে মালিক এবার মবিল,ফার্গ, গেসকেট এনে দিলে গাড়ীতে লাগানোর পরও গাড়ী আর চালো হচ্ছেনা এবার বেটারী চার্জ করে এনে লাগালে গাড়ীটি চালা হয়।কর্মচারী এবার গাড়ী ঠিক হয়েছে বলে সার্ভিসিং চার্জ ৮ শত টাকা নেন মালিকের নিকট থেকে ।
গাড়ী নিয়ে ২ কিলো আসলেই আবার গাড়ী বন্দ মালিক এবার গাড়ী নিয়ে আবার সার্ভিসিং সেন্টারে আসলে এবার গাড়ী রেখে যেতে বলেন কর্মচারী। কি আর করা গাড়ী সার্ভিসিং সেন্টারে রেখে পুরাতন পার্স সিডিআই ও মেগন্টে নিয়ে মালিক বাসাই চলে আসেন। এরই মধ্যে ৩ দিন হয়ে গেল গাড়ী আর চালো হচ্ছেনা এবার কর্মচারী বলেন আপনার আগের পুরাতন পার্সগোলো লাগবে। এবার মালিক পুরাতন পার্স সিডি আই মেগন্টে নিয়ে সাভিসিং সেন্টারে গেলে কর্মচারীরা পুরান মাল লাগিয়ে তার ওয়াইরিং করার পর গাড়ী ঠিক চালো হয়ে গেছে।
এবার কর্মচারী আরো ৫ শত টাকা দাবী করে এবার মালিক আরো ৫শত টাকা দেয় মোট এ কাজের জন্য ১৩ শত টাকা মুজুরী নেয় কর্মচারীরা। মালিক পক্ষের দাবী ভাল পার্সকে খারাপ বলে মেরেদিতে চাইছিল সাভিসিং সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীরা। এবিষয়ে শোরুমের মেনেজানে জারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি পার্স আর একটি পার্সের সাথে জড়িত খারাপ না হলেতো আর বলছেনা।
তাদের আর একটি কুশৌল সাভিংসিং সেন্টারে লেখা গাড়ী ঠিক করার সময় গাড়ীর মালিক পাশে থাকা যাবেনা, গাড়ীর মালিকের দাবী ভাল পার্সকে খারাপ বলে আনালো কর্মচারীরা আর পুরাতন পার্সদিয়েই গসামাজা করে ঠিক করে দিল আর নতুন পার্স রেখে দিলে মালিকে কিছুই করার থাকেনা।গাড়ী ঠিক করার সময় কর্মচারীরা যতোই মালিককে সরাতে চাইছে মালিক গাড়ীর সমানে থেকে সরেনি।যার ফলে মালিকে আনা নতুন পার্স আর সরাতে পারেনি কর্মচারীরা।
নতুন পার্স এখন আর গাড়ীতে লাগছেনা পুরাতন পার্স দিয়েই গাড়ী চালো হয়েছে আর ৭ হাজার টাকার পার্স মালিকের কোন কাজেই লাগছেনা বলে জানতে চাইলে মেনেজার এবিষয়ে কোন কথাবলতে রাজি হয়নি। এসব বিষয়ে উদ্ধোতন কতৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।