টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা এখন সারা দেশে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে পালটাপালটি অভিযোগ ও ফেসবুকে কাদা ছোড়াছুড়ির সঙ্গে মাঠ দখলের লড়াইয়ে চলছে পেশিশক্তির প্রদর্শনী। ঠিক এমনটাই এখন প্রকাশ পাচ্ছে নরসিংদীতে আওয়ামীলীগের ৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার পর। যদিও এর আগেও নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কর্মকা-ে তা প্রকাশ্যে এসেছে।
গত (৪ অক্টোবর) নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান নরসিংদী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও নরসিংদী শহর হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন সাহা, নরসিংদী জেলা শ্রমিকলীগের কার্যকরী সদস্য ও নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোমেন মিয়া, নরসিংদী শহর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মৃধা, ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম খান, জেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য পাভেজ ভূঁইয়া অপু ও আপন ছোট বোন জামাই ফরিদ খানকে ১নং আসামী করে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মোঃ নাদিম বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদী মোঃ নাদিম এর আপন ছোট বোন জামাই ফরিদ খান, সে জাল দলিল করে নাদিম এর জমি দখলের জন্য পায়তারা করছে এবং না হলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। এবং সর্বশেষ গত (৩০ শে সেপ্টেম্বর) ফরিদ খান এর নেতৃত্বে উপরোক্ত ও অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন নাদিম এর বাড়ীতে টাকা জন্য যায় এবং তাকে সাধারণ জখম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এদিকে অবাক করা বিষয় মামলার ১নং আসামী ফরিদ খানকে মামলার অন্য আসামীরা চিনে না । তাদের সাথে কোনো রকম সম্পর্কও নেই। তবুও মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে ফরিদ খান এর নেতৃত্বেই তারা উক্ত ব্যক্তিরা চাঁদা টাকা জন্য নাদিম এর বাড়ীতে যায়।
মামলায় অভিযুক্ত করা ব্যক্তিদের নাম গুলো কারো প্ররোচনায় ও নির্দেশে দিয়েছেন কিনা এসব বিষয়ে জানতে মামলার বাদী মো: নাদিম কে কয়েকবার মুটোফোনে কল করা হলে,, একবার কল ধরে বলেন আমি বাইরে আছি ১০ মিনিট পরে কল দিচ্ছি, পরবর্তীতে তার ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে দলীয় কোন্দল থেকেই তাদের পারিবারিক ঘটনার মামলার মধ্য আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানান এক আওয়ামীলীগের নেতারা।
এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া জানান, মামলা তদন্তের পরে জানা যাবে কে কতটুকু সম্পৃক্ত,কে কোন দল করে সেটা দেখে কারো বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয় না। বিনা কারণে কাউকেই মামলায় হয়রানি করা হবে না বলেও জানান তিনি।
এই নিয়ে গত দুই দিন যাবত নরসিংদী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহকারে নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে, যুবলীগ ছাত্রলীগ যুব মহিলা লীগ মহিলা আওয়ামী লীগ শ্রমিক লীগ এর পক্ষ থেকে এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।