ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে লোহার পাইপ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল লাকচু। ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি কোচিং সেন্টার। সেখানে তিনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রদের কোচিং করান। সেখানে অন্যান্য ছাত্রদের সাথে কোচিং করতে আসে পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার রবি মালোর ছেলে রনি মালো।
রনি মালো শহরের শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। দরিদ্র বাবার ধারণা তার ছেলে লাকচু স্যারের কাছে কোচিং করলে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। তাই মাসে ১২শ টাকায় গত মার্চ মাস থেকে লাকচু স্যারের কাছে কোচিং শুরু করে রনি মালো। বৃহস্পতিবার পড়া না পাড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা কামাল লাকচু জিআই পাইপ দিয়ে রনি মালোর পশ্চাতদেশে একাধিক পিটান দেয়। এতে রনি মালোর পশ্চাদদেশে কাল দাগ পড়ে যায়। রনি মালো বিষয়টি বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে জানালে তারা ওই শিক্ষকের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মোস্তফা কামাল লাকচু বলেন, ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত। আমি রনির মা- বাবার কাছেও সরাসরি ক্ষমা চেয়েছি। রনির বাবা রবি মালো বলেন, লাকচু স্যার আমার কাছে মাফ চেয়েছে আমি গরিব মানুষ মাফ করমু না করমু কী ?
বারবার শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। গত ২৩ জুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস চন্দ্র তালুকদার ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্র রিফাতুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। পরে জেলা প্রশাসকের সামনে ওই ছাত্রে অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান শিক্ষক তাপস তালুকদার। বারবার কেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এ প্রশ্নে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মারুফা বেগম বলেন রনি মালোর বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষকদের সতর্ক করা হবে। আপনারা এটা পত্রিকায় দিয়ে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবেন না।